প্রিয়ুতী তোমায় দেখি আপন মনে কাশ
বনে কেশ ছেড়ে হাঁট যখন রাঙা পায়ে
বিভোর হয়ে দারুচিনি বন গন্ধ ছড়ায় লজ্জা ভুলে।
আকাশ যখন গোধূলি লগ্নে রক্তিম হয়, আসো
তুমি হিয়ার পানে, মন সাগরের মাঝি চায়
তোমায় নিয়ে তরী ভাসাবো ভারতের ওই গঙ্গায়।
গগন সজ্জিত তারকা আচ্ছাদিত
পর্বত হিমানী ঢেকেছে, যমুনা কল্লোল ময়,
নিশীথে ভরা জোছনায় হেথায় দাঁড়িয়ে আছে
ওই লাল শাড়ী অঙ্গে জরিয়ে স্বপ্ন কন্যা ।
কেশবতী তার রাঙা চরণ পদার্পণ যখন
করে এই বসুন্ধরায় মৃত পুষ্প সুগন্ধী ছড়ায়,
মরুভূমির মুখে হাসি ফুটে!
("পৃথিবীর ঝলসানো বিপন্ন রজনী
নৌতন করে নেমে আসে পূর্নীমা")।
তোমার সান্নিধ্যের এতটুকু সুজুক পেলে সাইক্লোন উপেক্ষা করে কাঁটাতার ডিঙিয়ে জল সিন্ধু পারি দিয়ে বিজলি র মত হাজির হবো তোমার সম্মুখে।
তোমার চোখে নজর করে বাহুতে হাত রেখে
সিনা টান করে বীরের ভেসে বলবো
অনন্তকাল পরে দর্শন পেলুম তোমাতে।
স্বপ্ন কন্যা' তুমি মোর আরাধ্য কল্পনার প্রভাতে
তোমার ঠোঁটের একটু খানি হাসির অর্থ
কোন জনস্রোত হীন এক অন্য গ্রহ অনন্ত ভোরবেলা!
স্বপ্ন কন্যা খোদার খাজানা আমার আরাধনা
আমি যেন তোমার সাধন পাই এই ভবে এক বার।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
উৎসর্গ স্বপ্ন কন্যাকে।
রচনাঃ ২৭/৫/২০২২,
সিলেট জাফলং। (রাতে)