উন্মুক্ত কেশে বেহুলা র গায়ে নীল শাড়ী বেশে
আলতা রাঙা পায়ে নুপুর পরে,
হেলেদুলে আঁকাবাঁকা মেঠো পথে যায়
প্রিয়সখী যায় রে।
ও ভাই তোরা কে কে দেখবি প্রেয়সী কে
আয়রে, ভোরের শিশিরে গায়ের রাঙা গ্রামে
প্রিয়দর্শন'র আগমনে রাখাল বাজায় বাঁশী,
পাখিরা শারী শারী গায় গান।
এমন তা অবস্থায় বড়া মাঠে দারিয়ে
লাজলজ্জা র মুণ্ডু খেয়ে , তাহার ওই
ডাগর ডাগর চোখের দিয়ে তাকিয়ে বলি
রেখা ভালোবাসি তোমায় ,
মায়ার বাঁধনে যাই পরে, যাই।
তোমাতে চোখের দিকে নজর করে হতভম্ব হয়ে
দূর ওই নীলিমার দিকে তাকিয়ে,
আমি চিৎকার করে বলি হে ঈশ্বর তোমার
সৃষ্টি এত সুন্দর সত্যি তুমি নিখুঁত কারিগর,
তোমার সৃষ্টি অপরূপ।
এই বিশ্বের বুকে প্রকৃতির যত রূপ রস আছে
সব যেন তার চরন তলে পিষে মরে,
সে যেন এক অরণী।
তার অই উসন্ন ঠোঁটের মৃদু হাসি দেখতে
ও-ই দূর আকাশে জ্বলজ্বলে পূর্নিবার-র চাঁদ-টা,
নেমে আসে জমিনে, সে যেন বিধাতার
আপন হাতে গড়া নৈসর্গিক দেবী।
ক্লান্ত দুপুরে আনমনা মনে বসে আছি
নদীর তীরে স্নিগ্ধ সুসময় বাতাস,
এক পলকে দেখেছিলাম, নদীর অপরূপ দৃশ্য।
হঠাৎ কানে বেজে উঠলো যেন এক
স্বর্গীয় আওয়াজ, আনন্দ বড়া মন নিয়ে
দৃষ্টি করে দেখি, আপন মনে সুর দিয়ে
তোতা পাখির মতো ওই কুমুদিনী যাচ্ছে হেঁটে।
এই ভূমন্ডলে আছে যত প্রকৃতির সুর,
স্রষ্টা যেন আপন হাতে ডেলে দিয়েছে
তাঁর কণ্ঠে।
ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত জখম বড়া হৃদয় নিয়ে,
খালি পায়ে মরুভূমি তে প্রাণসঞ্চারণের
পরওয়া না করে, মাসরেখ থেকে মাগরিব
সামাল থেকে জুনুব পর্যন্ত, চিৎকার দিয়ে
ক্রম পুঞ্জিত করে বলি
"ভালোবাসি তোমায় "
"সুহাসিনী "!
রচনা,৬/২/২০২২, বরিশাল মেহেন্দিগন্জ
তে তুলিয়া নদীর পাড়ে,,