আমার প্রিয় রাণী আমি কোন শব্দায়মান
খুঁজে পাচ্ছি না তোমার কণ্ঠস্বর নিয়ে
কবিতা লিখবো! ইতি পূর্বে বাংলা সাহিত্যের সকল
নান্দনিক শব্দ
কবিগণ তাদের প্রিয়তমা কে উৎসর্গ করে
ফেলেছেন।
তাই আমি দ্বারস্থ হয়েছি বিশ্ব সাহিত্যের
দরবারে, আমি সেখান থেকে নিরাশ হয়েছি
তোমাকে নিয়ে লিপিবদ্ধ করার তুল্য তাদের ভাণ্ডারে,
মার্জিত কোন শব্দ বণিক জমা নেই।
তাইতো আমি চলে এসেছি হাজার
বছরের ইতিহাস যুক্ত ফারসি সাহিত্যের দুয়ারে
কড়া নাড়তেই চমকে উঠেছি,  
খুঁজে পেয়েছি এক অফুরন্ত রূপ-রস
কবিতার রসায়ন রুমিকে।
হে আমার প্রিয় আত্মা কাল রাতে
আমি ঘুমাতে পারিনি!
হেথায় থেকে ফিরে যাই আমি, ইমরুল কায়েস
আরব সাহিত্যের বুকে।
হে আমার মধু কন্ঠময়ী প্রেয়সী
সেথায় অন্বেষণ করে পাইনি এমন কোন
বচন, যাহা আমার বাংলার চেয়ে অধিক আলোকিত।
তাই আমি আলোর গতিতে ছুটিয়া চলেছি
গ্রিক সাহিত্যের তরে গিয়ে দেখি,
সব লুটেপুটে খেয়ে চলে গেছে হেথা থেকে।
মলিন মুখ নিয়ে ফিরে চষেছি আমার বাংলার বুকে,
এখানে কি করিবো তোমাতে চরণে
মোর কবিতার, অফুরন্ত রূপ-যৌবন দান?  
কে তুমি মধু কন্ঠময়ী এসেছ কোন
শুধা সৌন্দর্যময় নক্ষত্র হতে, বলো রাণী!
তোমার কণ্ঠস্বর ধ্বনি এই বসুন্ধরায় লুটিয়ে দাও।
হে প্রিয় বন্ধু আমার, বিশ্বাস করুন আমি তোমার হাতের
এক ফোঁটা মদ ও খাইনি তবুও আমি বিশ্ব মাতাল!
............................................................
উৎসর্গঃ আগন্তক মধু কন্ঠময়ী রাণীকে"
রচনা; ২৪,২৫/১/২০২৩;
মেঘনা শীতালক্ষা নদীতে ভ্রমণ কালে"