তোমাকে অনুবাদ গিয়ে ৪৫০০ বিলুপ্ত ভাষা আমি
শিখে গিয়েছি, শিখে নিয়েছি অ্যারিস্টোটল প্লেটোর
সকল দর্শন বিদ্যা।
জেনে গিয়েছি পৃথিবী এবং মহাকাশের সকল
রহস্য, সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশল অবলম্বন করেছি
তোমাকে অনুবাদ করার জন্য।
নিজের যৌবনের প্রতিটা মুহূর্ত কাটিয়েছে তোমার
মাঝে মগ্ন হয়ে, শরীরের পবিত্রতা রক্ত দিয়ে
বানিয়েছি পেন্সিলের কালি, পৃথিবীর উৎকৃষ্ট
লাইব্রেরী থেকে সংগ্রহ করেছি একগুচ্ছ সাদা কাগজ।
হায় আফসোস তোমার এই রহস্যময় জীবন
থেকে এক বিন্দু পরিমাণ ও অনুবাদ করতে
পারেনি, একি রহস্যের খেলা নিয়ে তুমি জন্ম
নিয়েছো হে বঙ্গ নারী?
তোমাকে অনুবাদ করতে গিয়ে পৃথিবীর
এক তৃতীয় অংশ রহস্যের বিদ্যায় আমি বিদ্বান,
নিশ্ছিদ্র আঙ্গিরীয় স্পর্শের ভিতর দিয়ে অতিবাহিত
হয়ে ও তোমাকে অনুবাদ করতে পারিনি।
একি আমার ব্যর্থতা!নাকি তুমি ঐশ্বর্য চূড়ায়
পৌঁছে গিয়েছো?  
তোমাকে অনুবাদ করতে গিয়ে আমি ভেদ
করেছি "ধূমকেতু" রুখে দিয়েছি সাইক্লোন"
খণ্ডন করে ফেলেছি সাহারা মরুদ্যান" কে,
যদি তোমাকে অনুবাদ করতে পারি!সাইরেন
বাজিয়ে পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দেবো
হে মানব গোষ্ঠী শুনো,
আমি আমার জান্নাত কে অনুবাদ করেছি।
তোমাকে অনুবাদ করতে গিয়ে সহস্র বৃষ্টিময়
রজনী নির্ঘুম কাটিয়ে দিয়েছি,
সেদিন রাতে আমি খুব আনন্দে মেতে উঠে ছিলেম
তোমাকে অনুধাবন করে সমগ্র পৃথিবীর বিষাদ টুকু
শুষে নিয়ে পুষ্পে আচ্ছাদিত করেছেলাম নতুন
ভুবনকে। যদি একবার!শুধু একবার" তোমার
রহস্যময় কান্ডারী থেকে এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করতে
পারি, সমগ্র পৃথিবীতে ৫৬ হাজার লিফলেট
বিনামূল্যে বিতরণ করব তোমাকে উৎসর্গ করে।
রপ্ত করে নিয়েছি "ইমরুল কায়েস"
মহাকবি ফেরদৌসী "আল্লামা ইকবালের "সমগ্র
কাব্যগ্রন্থ কে, ঠোঁটের আগায় নাড়াতে নাড়াতে
বলি বাংলা পুরনো সাহিত্যের কথা।
এই ক্ষুদ্র জীবনে এত সাধনা করার পরেও
হে বঙ্গ নারী তোমায় অনুবাদ করতে পারিনি!
তুমি আমার স্বপ্নসারথী এই ধরায় আমার জান্নাত।


উৎসর্গ কল্পনার জলপরী স্বপ্ন সারথি"