মন খারাপের মাপকাঠিতে বইছে জীবন সরলরেখা,
মোড়ের মাথায় হোঁচট খেয়ে তোমার সাথে হঠাৎ দেখা।
তাকিয়ে আছি বেখেয়ালে; তোমার চোখও আমার পানে,
কয়েক সেকেন্ড চোখাচুখি; তলিয়ে গেলাম স্মৃতির টানে।
সেই যে তুমি; সেই আগেকার, অভিমানী মুখটি তোমার,
কাজল মাখা হরিণী চোখ, আমার বুকে ঝড়-হাহাকার।
সিক্ত তোমার অক্ষি যুগল অল্প কথায় উঠতো ফুলে,
মুছিয়ে দিতাম দুহাত দিয়ে জড়িয়ে বুকের ছায়াতলে ।
গড়িয়ে যেত সময় কখন হাতের উপর রেখে হাত,
সময় আজও চলছে ঠিকই নিয়ে তোমার সব আঘাত।
সেই যে তুমি বলতে আমার চোখ দুটোতে নেই কারো ভাগ,
তাকিয়ে দেখো সেই চোখে আজ ভীষণরকম কালসিটে দাগ।
কথা ছিলো তোমায় নিয়ে পেরিয়ে যাবো দুর-সীমানা,
রং বেরঙের পাখির ভিড়ে মনের সুখে মেলবো ডানা।
এখন বোধহয় অন্য কারোর সুখের ঘরে বুনছো জাল,
মুখে তোমার মলিন হাসি; সিঁথির উপর হালকা লাল।
তোমায় দেখে হাসত যে ঠোঁট আজকে দেখো কাঁদছে সেও,
জীবন বড়ই একলা; আমার ত্রিভুবনে নেইকো কেও।


দাড়িয়ে আছি গলির মোড়ে তোমার পানে দৃষ্টি রেখে,
সৃষ্টি যদি না চায় তবে;  চাওয়া-পাওয়া মেলায় কে !
আজও আমার নামের পাশে তোমার নামের প্রতিধ্বনি,
চাঁদনী রাতে কান পাতলে তোমার গলার আওয়াজ শুনি।
আজও প্রতি বিকেল বেলা তোমার আকাশ খোঁজে মন,
আজকে দেখো হঠাৎ দেখা; থমকে গেছে দুই নয়ন ।
তোমায় দেখে কাপছে হৃদয়, ঘামছে শরীর অবিরত,
ভাবছি মনে; তোমার এরূপ না দেখলেই ভালো হতো।
সেই যে তুমি বলতে তোমার লাল রং লাগে ভীষণ বাজে,
এখন দেখি লাল শাড়ি আর লাল টিপ দুই ভুরুর মাঝে।
অন্য কারোর মন ভোলাতে আগা গোড়ায় বদলে গেছো,
হীরার লোভে সোনা ফেলে দস্তা নিয়ে ভালোই আছো!


তাকিয়ে আছি পলক বিহীন একদৃষ্টে তোমার পানে,
ফেলে আসা দিন গুলো আজ ভীষণভাবে পড়ছে মনে।
সারাটাদিন পাখির মতো তোমার কাছে উড়ে যাওয়া,
মেঘলা মনের আকাশ'টাতে একটু খানি চাঁদের ছোঁয়া।
প্রতি রাতের ঘুম বিকিয়ে মিথ্যে আশার বাণী শোনা ,
অন্ধকারে ছাদের কোণে আলোর খোঁজে তারা গোনা।
আজও আমার স্মৃতিগুলো শুধু তোমায় জড়িয়ে রাখে,
মাঝরাতে রোজ ঘুম ভেঙে যায় মুখটি তোমার স্বপ্নে দেখে।
তবুও আমার এই দুটি চোখ ডাকছে তোমায় করুন সুরে,
মনের সাথে দ্বন্দ্বে চোখের অঝোর ধারায় ঝর্না ঝরে।
তোমার আবেশ অস্তাগেলে  অজানা কোন অনুতাপে,
ঝাপসা লাগে সবই আমার আকাশ পাতাল ভুবন কাঁপে।