বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে দেখেছি
পাখিদের কান ভাসে না আর 'অলকানন্দা জলে'।
দেখেছি কংসাবতীর উথাল ঢেউ পাড়ি দিতে গিয়ে
শপথের পালক বিসর্জন দিয়ে ঘরে ফেরে বিধ্বস্ত রাজহংসী।
আত্মবিসর্জনের এই শব্দ পাহাড়ের পাথর ভাঙার মতো
জানালার পর্দায় আছড়ে পড়ে রোজ।পর্দা সরিয়ে দেখি
ফোঁপানো কান্নার অবিন্যস্ত প্রতিমা। তার ছায়া ক্রমশ
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
অথচ প্রাগৈতিহাসিক শুক-সারিদের শুভ আগমনের
অপেক্ষায় থেকে থেকে ক্লান্ত হয় পাহাড়ের দেবদারু,
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সমুদ্রের ঝাউবন। নিঃশব্দ চিৎকারে বলে,
এই আত্মঘাতী পৃথিবী আমার নয়।
হে অবুঝ দেবদারু, হে সবুজ ঝাউবন, তোমরা কি জানো
নিঃশব্দে ঘটে গেছে অলীক রূপান্তর? অদৃশ্য নয়নে দেখো-
অন্ধকার গাঢ় হলে সুর থামিয়ে দেয় ছদ্মবেশী বাঁশি,
হিসহিসে শব্দের ছোবলে মত্ত হয় নেশাড়ু বাতাস ...