এখানে 'আবৃত্তি' নামে একটা বিভাগ যখন চালু হয়েছে তখন সেটাকে বাঁচিয়ে রাখার দায় আমাদের সকলের। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে বিজ্ঞাপনের বা আত্মপ্রচারের বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও আজ সেটাই করতে হলো।কারণ আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আবৃত্তি চালিয়ে যাবো না বন্ধ করে দেবো।
আমি কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আবৃত্তিকার নই।নিতান্তই শখের বশে আবৃত্তি করে থাকি ছাত্রবয়স থেকেই।আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানও পেয়েছি কয়েকবার।এই আসরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আবৃত্তি প্রকাশ করেছি।কিন্তু মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া তেমন কোন সাড়া পাইনি।যে কয়েকজন উৎসাহ দিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।এক্ষেত্রে প্রিয় কবি মোঃ সানাউল্লাহ , কবীর হুমায়ূন, মিমিদি, সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।কিন্তু এই আসরে দৈনিক প্রায় ১০০ জনের আগমন ঘটে।তাঁরা সকলেই কাব্যরসিক, আর আবৃত্তি তো কাব্যরসেরই এক আধার।তাঁরা কেউ আবৃত্তি শুনতে চান না, এটা ভাবা যায় না।তাহলে কি ধরে নেবো, তাঁদের অনেকেই আবৃত্তি শোনেন কিন্তু আমার আবৃত্তি ভাল লাগে না বলে কোন মন্তব্য করেন না।তাই যদি হয় তাহলে আমার আবৃত্তিপ্রকাশ বন্ধ করে দেওয়াই উচিত বলে মনে করি।ঠিক এই কারণেই বহুদিন নতুন কোন আবৃত্তি দিই নি। কারণ সুযোগ আছে বলেই একের পর এক আবৃত্তি দিয়ে আসরের পাতা ভরিয়ে তুলবো, এই মানসিকতা পোষণ করি না।অকারণে জঞ্জাল বাড়ানোর মানে হয় না।তবু অনেক দিন পর আজ আবার একটা আবৃত্তি (দূরভাষিণী) প্রকাশ করলাম। প্রত্যেক কবির কাছে আমার ও অন্যান্যদের আবৃত্তিগুলো শোনার অনুরোধ রইলো আর শোনার পর অনুগ্রহ করে প্রতিক্রিয়াটা অন্তত জানাবেন।ভাল না লাগলে, কেন লাগলো না সেটা জানালেও উপকৃত হই।আমি অন্তত বিরূপ সমালোচনা সইতে পারি এবং সেটা পজিটিভলিই নিয়ে থাকি আর তাঁকে আমার হিতাকাঙ্খীই ভাবি।সকলেই ভাল থাকুন আর নির্দ্বিধায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন, এই আহ্বান রইলো।