আমরা সকলেই জানি এই আসরের কবি প্রনব মজুমদার আসরের কবিদের বিভিন্ন অভিধায় ভূষিত করার এক অভিনব উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন।কাজটা একেবারেই সহজসাধ্য ছিল না।প্রতিটি কবির কবিতা নিয়মিত পাঠ ও অনুধাবন এবং সেই কবির ব্যক্তিগত মানসিকতা পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ ও জটিল প্রক্রিয়া।তিনি যখন এই প্রয়াস শুরু করেছিলেন, আমি বিস্মিত হয়েছিলাম এই কথা ভেবে যে, এই কর্মময় ব্যস্ততার যুগে তিনি এতটা সময় ও মেধা এই আসরের জন্য ব্যয় করছেন কেমন করে!
এ কথা অনস্বীকার্য যে, আসরের প্রতি অগাধ ও অকৃত্রিম অনুরাগ থাকলে তবেই এমনটি সম্ভব।বহু কবি আছেন এই আসরে। সকলেই এই আসরকে ভালবাসেন ও আসরের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন।কিন্তু এমন অনুরাগ সত্যিই বিরল।
কেবল এই প্রয়াস নয়, কবি ও মানুষ হিসাবেও কবি প্রনবের বরাবরই আমি গুণগ্রাহী।তাঁর সাথে অনেক ক্ষেত্রেই আমি আমার মানসিকতার মিল খুঁজে পাই।তিনিও বিশ্বাস করেন, ভাল কবি হতে গেলে ভাল মানুষ হতে হবে।তাঁর বহু কবিতাই মনে রাখার মতো।তাছাড়া তাঁর কবিতা রচনা-ভঙ্গি একেবারেই স্বতন্ত্র।তাঁর এই স্বকীয়তা কাব্য-সাহিত্যে বিশিষ্টতা দাবি করতেই পারে।তাঁর কিছু কবিতা তাঁর অনুমতিসাপেক্ষে ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলাম।(উল্লেখ্য তাঁর নিজস্ব কোন ফেসবুক অ্যাকাউণ্ট নেই।) যাই হোক,ফেসবুকে প্রকাশিত তাঁর কবিতাগুলি আশাতিরিক্ত লাইক-কমেণ্ট পেয়েছিল।
আমি আজ ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি যে, কবি প্রনবের নামকরণের প্রয়াস দারুনভাবে সার্থকতা লাভ করেছে।কেননা অধিকাংশ কবিই আজ তাঁর দেওয়া অভিধা নিজের নামের পাশে ব্র্যাকেটে ব্যবহার করছেন।এ থেকেই বোঝা যায় তাঁর এই উদ্যোগ কতটা সফল।