একটু আগের মেঘলা আকাশ বদলে গেল নীলে
খেলতে থাকা মুরগী-ছানা ধরলো ঠোঁটে চিলে,
মুহূর্ততেই চিল পালালো, ব্যর্থ মায়ের ধাওয়া
অন্য শাবক ডাকছে তাকে, তাদের কাছে যাওয়া।
ডাকলো ছেলে কুকুরটাকে রুটির টুকরো হাতে
কাছে যেতেই মারলো মুগুর,খাবার নিজের পাতে।
ফিরবে স্বামী একটু বাদে, আনবে পুজোর বাজার
গাড়ির চাকা পড়লো খাদে,মিটলো না শখ সাজার।
শান্ত নদী, ফুল্ল মনে ছাড়লো তরী মাঝি
হঠাৎ ঝড়ে রাখতে হলো জীবনটাকেই বাজি।
নাচতো মেয়ে মঞ্চে দারুন হচ্ছিল বেশ নাম
ভাবছিল তার জীবনখানি পাচ্ছে তো বেশ দাম,
কর্কটেরই করাল গ্রাসে বাদ গেল পা-দুটি
মঞ্চ থেকে নিতেই হলো যাবজ্জীবন ছুটি।
একাগ্রতার মন্ত্র পড়ে জ্বাললো সুখের বাতি
হাতের 'পরে হাতটি রেখে কাটলো হাজার রাতি,
হঠাৎ গেল সুরটি কেটে বদলে গেল রাত,
যে হাত ছিল একটি হাতে, ধরলো অন্য হাত।
আধ মিনিটেই বাছুরখানি গুপ্ত বাঘের থাবায়
লাচার গরু ঠায় দাঁড়িয়ে,তাকে কি কেউ ভাবায়?
হয়তো ভাবায় আধ মিনিটই,আবার পিছু ফেরে
পুত্র-কাড়া বনের মায়ায় মনটা আবার ঘেরে,
একটু দূরেই বন রেখেছে গাছের শীতল ছায়া
শান্ত মনে কাটছে জাবর, পাচ্ছে রসদ কায়া।