তারাখসা রাতেই জেগে জেগে এঁকেছি হলুদ তারার নকশা।
যদিও শুরু হয় প্রথমে;শেষ হতে হতে কাটে রাতের পর রাত।
এখন আকাশজুড়ে ওড়ে কেবল ঝাঁক ঝাঁক নীল মাছি। ভন ভন ছাড়া বাকি শব্দেরা মরে গেছে।
ওরা নাকি শবপ্রিয়!
তবে কি আমিও মরে গেছি?
মাছি তাড়াতে হলে হাত তোলা জরুরি।
অথচ হাজার চেষ্টাতেও তোলা যাচ্ছে না হাত। প্রগাঢ় অন্ধকারে দেখাও মিলছে না কোন অবলম্বনের।
অভিশাপ ছিল কি কারো?
তা যদি না হবে তাহলে নিশ্ছিদ্র বাসরে কিভাবে ঢুকেছিল
কালনাগিনী! বিশ্বাস ডিঙিয়ে গেলেই সাধুবেশী রাক্ষস লুফে নেয়। চুপিসারে ছেড়ে আসে কালসাপ! কাহিনী গুলিয়ে যায়
বেহুলা-সীতায়। ওদিকে পড়ে থাকে বেওয়ারিশ শব। কে তাকে
ভাসাবে জলে? নেচে গেয়ে কেই বা করবে দেবতারঞ্জন?
তবু তারার নকশা রাতে রাতে এগিয়ে যায় পূর্ণতার দিকে।
আকাশ জানে এভাবে মৃত্যু হলে পুনর্জন্ম হয় দ্রুত...