নিশ্চিত, তোমার জন্য এটি দুঃখ-দুর্দশার বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা,
স্বীয় অভিষ্টের ধন তালাশে ব্যাপৃত আছ, বেশ! ঘাবড়িয়োনা।
মুসিবতের এ আঁধার ঘরে কোন আলো অবশ্যই, অবতীর্ণ হবে,
মুসাফির বলে, প্রবোধের সুরে, হারানো হীরা অবশ্যই ফিরে পাবে।
কাফেলাপতি বলে দুর্ভাগ্যের প্রান্তে এসে, সৌভাগ্য কী করে হবে?
মহারাজের দয়া আর্শের চূড়া হতে আমাদের সাহায্যে কি আসবে!
এতটুকু বলতেই কাফেলা পতির শব্দ কন্ঠে আটকা পড়ল,
হায় আমার হীরা বলে, হাঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কান্না করতে লাগল।
মুসাফির এ বেদনাবিধুর অবস্থা সহ্য করতে নাহি পারলেন,
জগতপতির দেহধারী দয়া তোমারই সামনে দাঁড়িয়ে,বললেন
মাতম করছো! বলেই তড়িৎ নিজ চেহরার পর্দা তুলে নিল,
পর্দা উল্টাতে না উল্টাতেই চতুর্দিক আলোতে উদ্ভাসিত হল।
নিজ সার্বভৌম দৃষ্টির এক তীব্র কিরণ বিচ্ছুরণ করলেন বালিচরে,
‘ওই দেখ তোমার হীরা চমকাচ্ছে’ বললেন, আঙ্গুলের ইঙ্গিত করে।
কাফেলাপতি এক দৌঁড়ে তাহা হাতে তুলে নিলেন,
এ অত্যাশ্চর্য ঘটনায় কাফেলার সবাই হতচেতন হলেন।
স্বস্ব অবস্থানে সবাই হতবিহ্বলতার দেওয়াল হয়ে রইল দাঁড়িয়ে,
আনন্দ প্রকাশ করতেও ভুলে গেল, হারানো মানিক ফিরে পেয়ে।
কাফেলাপতি এ দিকে হীরা তুলে নিলেন,
ওই দিকে মুসাফির আপন মুখ ঢেকে নিলেন।
মুসাফির বিদায় চাইলেন, “আচ্ছা যাচ্ছি, ওখানেই দেখা হবে,
যেখানে এ মহান আমানত তোমাদের ফেরৎ করতে হবে।”
চলবে......
আগামীকাল_পর্ব -০৯