‘মোগল-পাঠান হদ্দ হলো ফার্সি পড়ে তাঁতি’
৭৯৯ পৃষ্ঠার প্রেমপত্র পড়তে পড়তে রাতি।
কেমনতর প্রেমপত্র লেখলি ও....লো সখি।
প্রেমের চেয়ে অভিমান লেখায় আমি দেখি।
'ধান ভানতে শিবের গীত' শুনতে আমি পাই,
গীত আমার শুনতেই হবে গাইছে শ্যাম রাই।
নইলে আমার শ্যাম রাই দিবে মোরে তালাক,
বলবে আমার শ্যাম রাই, লাল দালানে থাক।
'অবাক্ ক‘ল্লে নাকের নথে,কাজ কি আমার
কানবালাতে', কেমন পত্র লিখলে ঠাকুরপো?
সইতে নারি, কইতে নারি, নহি আমি অবতার,
নই স্বর্গ পারের পরী, কেমনে ধরিব ষড়রিপু?
তুমি এক হাতে বাজাইলে কাঞ্চা বাশের বাঁশী,
আরেক হাতে কাটলে গলা হাতে নিয়া অসি।
নিজের হাতে লেখা পত্রে লিখলে তুমি একি।
নিজ পিতাকে খুন করতে রেখেছো কি বাকি?
তোমায় যখন ভালবেসে বসায়েছি প্রাসাদে,
ভেসেছিলাম তব আমি প্রতিবেশীর বিষাদে।
সেই তুমি আজ বুকে যদি উলটা ধর ছুড়ি।
তোমায় নিয়ে তখন আমি কি করতে পারি?