বাসন্তী শাড়ীতে
(সহিদীয়া সঙ্গীত_১২)
পিউ পিউ ঐ পাপিয়া গাহিতেছে গান,
ফাগুন এলো ধরায়, শীতের অবসান।
সুপ্ত ধরণী জাগে, হয়ে যায় ভোর,
মন আমার ভরে দেয় কোকিলের সুর।
ভোরের আবির্ভাবে,পাখিদের কলরবে।
সুখে সজীব হয় প্রাণ।
পিউ পিউ ঐ পাপিয়া গাহিতেছে গান,
ফাগুন এলো ধরায়, শীতের অবসান।
পলাশ শিমুল আর দিয়ে কৃষ্ণচুড়া,
মনোহর সাজে আজ অনন্য ধরা।
পুষ্প পল্লব আর নতুন কুঁড়ি,
রঙ্গিন ফুলে ধরা গিয়েছে ভরি।
রঙ্গিন ফুলে, নারীর রাঙ্গা চুলে,
চির সুন্দর মোর বাংলা আবহমান।
পিউ পিউ ঐ পাপিয়া গাহিতেছে গান,
ফাগুন এলো ধরায়, শীতের অবসান।
ঋতুরাজ বসন্তে আজ রঞ্জিত ধরণী,
বাসন্তী শাড়ীতে সেজেছে মোর সজনী।
খোঁপায় গাঁদা ফুল, বকুল মালা,
রঙ্গিন শাড়ীতে বেড়ায় পল্লিবালা।
ভ্রমরের গুঙ্গনে, বসন্তের অনুরণে,
প্রিয়ার ছোঁয়া পেতে উষ্ণ এ প্রাণ
পিউ পিউ ঐ পাপিয়া গাহিতেছে গান,
ফাগুন এলো ধরায়, শীতের অবসান।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম