একদা এক বট বৃক্ষের মনোভাব দেখিয়া
স্বয়ং দেবতা প্রসন্ন হয়ে কন
হে প্রাচীন বৃক্ষ বট
খুলে দিলাম তোমার প্রধান সংকট
মুখ ফুটিয়া কর মোরে বর্ণন
হাজার বছরে যা যা করেছ অবলোকন।
প্রভুকে প্রণাম করি আরম্ভ করে বট-
একদা এক পক্ষী ভায়া মোর মাতৃবীজ
ঠোঁটে তুলে ফেলল এক ধূ ধূ প্রান্তর
সেই হতে ক্রমে ক্রমে হয়েছি বিস্তর।
ক্লান্ত পথিক পরম আশায়
মোর পদতলে বসে, আমি করি মৃদু হিল্লোল
মিষ্টি বাতাসে আরামে আরামে দুচোখ বুজি।
যাইবার কালে না জানি কোন রোষে
ডাল পালা পত্র পল্লব ধরি
টানিয়া ছিড়িয়া মোরে কাঁদাইয়া
অবজ্ঞা ভরা কন্ঠে মোরে দোষে।
প্রভু, দুঃখের এই দুনিয়ায় একদা
কাঠুরে ভুখা তৃষা মোরে কয়
হে বৃহৎ, অনুমতি দিলে কাটিয়া তোমায়
মোর দু’খানি সন্তানের ক্ষুধা নিবারণ হয়।
ভাবিয়া দেখিলাম মোর তরে কেউ বাঁচিলে ধরনীতে
ধন্য এ বৃক্ষ জীবন ইহ পরলোকে।
যদি ঠাঁই দেয় ভগবান মোরে স্বর্গলোকে
হে প্রভু সর্বজান্তা, দয়ার অবতার
দেখিয়া শুনিয়া মোর আত্মত্যাগের কাহিনী
ঠাঁই দিলেন মোরে সুখ নগরী স্বর্গে
প্রণাম জানাইয়া শেষ করি মোর কেচ্ছা ॥