আমাদের কর্তব্য শিক্ষার প্রকৃত অর্থ আগে জানা,
এরপর আসি জ্ঞান বিতরণে, তবেই সফল শিক্ষা।
পরীক্ষায় ভাল নম্বর, ভাল ফলাফল নয় সফলতা।
মুখস্ত বিদ্যা, জোয়ারের পানি বই কিছুইনা,
ক্ষণিকের জন্য মুখস্ত কথা অনুর্বর করে মাথা,
শিক্ষার্থী হারায় জ্ঞান অর্জনের সৃজনশীলতা।
গুরুর কাজ সুপ্ত গুণাবলী বিকাশে করা সহায়তা,
শিক্ষকের দায়িত্ব শিক্ষায় উৎসাহ জাগিয়ে তোলা,
শিক্ষাগুরুর কাজ নয় শিক্ষা বিতরণ করা।
আমাদের জানা উচিত মনীষীদের মূল্যবান কথা,
শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।
সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল আসল শিক্ষা।
মনুষ্যত্বের শিক্ষাই চরম শিক্ষা বাকীসব তার অধীন।
শিক্ষা হল তাই যা কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না,
বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনকে গড়া।
শিক্ষার প্রথম কাজ হলো কৌতূহল জাগিয়ে তোলা,
আর হলো ভাবনার জগতে একাত্ম করে দেয়া।
মধ্য মানের শিক্ষক বলেন, ভাল শিক্ষক বুঝিয়ে দেন,
শ্রেষ্ঠ যে করে দেখান, মহান যিনি অনুপ্রাণিত করেন।
আমরা এখন কিছুই বুঝতে চাইনা, উদ্দেশ্য ভাল করা,
বেশি নম্বর কীভাবে পাওয়া যায় তার পিছনে দৌড়া,
ছাত্রকে দিতে হবে গাইড বই, কোচিং, প্রাইভেট পড়া।
প্রতিযোগিতায় সরকার ও প্রতিষ্ঠান পাশের হারে ধরা,
কেন্দ্র সচিব নির্দেশ দেন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কড়া,
পরীক্ষার হলে শিক্ষক পাঠাবেন যিনি দেন না পাহারা,
গণিত, ইংরেজি বলে দিতে পারেন যারা।
শিক্ষক রাখবেন প্রশ্নের সমাধান যাতে করতে পারে।
সকলকে পাস করাতে হবে যাতে বেতন বাড়ে।
সহজে এ প্লাস পেলে কী দরকার এত বেশি পড়ে,
যদি স্যারেরা দিয়ে যান নৈর্ব্যক্তিকের সমাধান করে।
এভাবে চলতে থাকলে দেশ, জাতি, সমাজ,
মেধাশূন্য হয়ে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে অল্প দিনে।
সবাইকে আসতে হবে এগিয়ে এ সমস্যার সমাধানে।
বন্ধ করতে হবে এ কুকর্ম মেরুদন্ড শক্তিশালী করতে ।
সচেষ্ট হবো জাতিকে সঠিক শিক্ষায় আলোকিত করতে,
দক্ষ, নীতিবান, আদর্শ, আলোকিত শিক্ষক গড়তে।
সকল স্তরের শিক্ষাকে করতে হবে জাতীয়করণ,
শিক্ষায় থাকবে না অন্য কোন ধরণ,
একই নিয়ম, একই নীতি থাকবে সর্বস্তরে।
শিক্ষিত দেশ প্রেমিক তৈরী হবে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।
হবে না নেশাখোর, সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদ কোন ঘরে,
শান্তি ফিরে আসবে বাংলার প্রতিটি সংসারে।