১
হাজার বছরের লালিত মায়ের ভাষা,
বাঙালির ভবিষ্যৎ স্বপ্ন আশা-ভরসা,
নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল ভণ্ড শাসকেরা।
বলেছিল, “ঊর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র ভাষা।”
গর্জে উঠেছিল সেদিন বাংলার দামাল ছেলেরা,
ভেঙে দিয়েছিল পাকিস্তানি শাসকের ১৪৪ ধারা।
মিছিলে মিছিলে ঢাকা শহর হলো দিশেহারা,
বাঁচতে পারেনা বাঙালি বাংলা ভাষা ছাড়া।
আমার মায়ের ভাষা কেড়ে নিবে ওরা কারা?
মুহূর্তের মধ্যে মিছিলে গুলি!
খুনে রঞ্জিত হলো মায়ের বুক,
শহীদ হলো সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতেরা।
পিছু হটেনি বাঙালি, পিছু হটার জাতি নয় তারা।
আদায় করে নিয়েছিল মায়ের ভাষার মর্যাদা,
অর্জন করেছিল সেদিন অধিকার রক্ষার কায়দা।
খুঁজে পেয়েছিলাম স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পথ,
জাতির পিতা দিয়েছিলেন এ কঠিন পথের রথ।
জাতি নিয়েছিল স্বাধীনতা আদায়ের কঠিন শপথ।
২
একুশ এখন সারা বিশ্বের দরবারে,
একুশের মর্যাদা পৃথিবীর ঘরে ঘরে।
সকল দেশ-জাতি একুশকে স্মরণ করে,
নিজ নিজ ভাষার মর্যাদা রক্ষার তরে।
বাঙালি জাতিই বিশ্বকে শিখালো-
কীভাবে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে।
সকল দেশ এখন একসাথে গেয়ে উঠে-
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি?”
এ অর্জন কার? বাঙালি জাতি, বাংলার।
আমরা শপথ নিব বার বার,
একুশ এবং একাত্তরকে ধরে রাখার।
এখনো আমি গন্ধ পাই এ বাংলায়,
পাকিস্তানি শকুন ও প্রেতাত্তার ।