আমি গর্বিত-
মহান স্রষ্টার ইচ্ছায় আজ আমি এ ধরণীর শ্রেষ্ঠ জীব।
তাঁর সৃষ্ট অন্য সব আমার সেবায় নিয়োজিত সর্বক্ষণ,
আমার মেধা,বুদ্ধি,শিক্ষা আর জ্ঞান সব বিধাতার দান।
সৃষ্টিতে যা কিছু আছে, তার মধ্যে এ ধরা শ্রেষ্ঠ জানি,
আমি গর্বিত-
মেঘালয়ের বিশাল পাহাড়ের পাশে, গারো পাহাড়ের
পাদদেশে, সুমেশ্বরী, কংস,গোমাই নদীর পললে উর্বর
মাটিতে, গড়ে উঠা ছায়াঘেরা আমার জন্মস্থান সনুড়া।
যেখানে আমার শৈশব কেটেছে, বাল্যে অসংখ্য স্মৃতিঘেরা।
আমি গর্বিত-
শৈশবে পেয়েছি স্বাধীনতার সংগ্রাম ও বিজয়ের পতাকা।
প্রথম শ্লোগান দিতে শিখেছি উনিশ শ একাত্তর সালে,
“পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বাংলা আমার ঠিকানা,
বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।”
আমি গর্বিত-
আমার আছে প্রীতিলতা, সূর্যসেন, তিতুমীর ও শেখ মুজিব,
আছে মধুসূদন, বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, রবি ঠাকুর ও নজরুল।
আছে অমর একুশ, ছাব্বিশে মার্চ ও ষোলই ডিসেম্বর,
শহীদ মিনার, ৭ই মার্চের রেসকোর্স ময়দান, ও স্মৃতিসৌধ।
আমি গর্বিত-
আমার মা বলতো, “ছেলে আমার অনেক বড় হবে।”
মা-বাবা যখন আমার প্রশংসা করে কিছু বলতো।
কারো জন্য কিছু করতে, কাউকে কিছু দিতে পারলে।
কঠোর পরিশ্রম করে কখনও কোন ভাল ফল পেলে।
আমি গর্বিত-
মাতা-পিতা আমাকে সযত্নে মানুষ হিসেবে গড়েছে।
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেই আমি হাজার শিশুর মাঝে।
সারাদিন ব্যস্ত থাকি আমি কোন না কোন সৎ কাজে।
সমাজের অসত্য, মিথ্যা ও দুর্নীতিকে করি আমি ঘৃণা।
আমি গর্বিত-
বিধাতার মহিমায় এ ধরায় আসার আগে আমি লালিত।
দশ মাস ছিলাম তাঁর কৌশলে মায়ের গর্ভে পালিত।
একমাত্র প্রভুর ইচ্ছায় এ ধরিত্রীর বুকে আমি পরিচালিত।
মৃত্যুর পরও স্রষ্টাই হবেন আমার পরিচালক, এটাই সত্য।