দখিনা সমিরণ ধানের খেতে ঢেউয়ের সারি তুলে,
মেঘের সাথে মিতালি করেছে শুভ্র বরুণ ফুলে।
হিজল ফুলের মালা শোভা পায় কিশোরীর গলে,
রাখালেরা গরুর পাল নিয়ে মাঠে যায় দলে দলে।
গ্রীষ্মের মেঘ দিগন্তে উড়ে চলেছে অন্তহীন ঠিকানা,
জারুল ফুল বনের সবুজে এঁকেছে স্বপ্নের আলপনা,
জল ভরে ঘাটে কাঁখে কলসী নিয়ে যায় পল্লি ললনা,
শিশুরা দুলছে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দোলনা।
তটিনীর বুকে পালতোলা নৌকায় হাটুরে যায় চলে,
নদীতে রকমারি জাল ফেলে মাছ ধরে জেলে।
তীরে বসে ধবল বক, মাছরাঙা গাছের ডালে,
এক ঝাপটায় ছোঁ মেরে চঞ্চুতে মাছ ধরে গাঙচিলে।
দোয়েল, শ্যামা, ঘুঘু, শালিকের কলরব সারাদিন ভর,
চিকচিক করে বালি অপলক দেখি বলিহারি নদীর চর।
দিগন্তে মিশে আছে নদী, নৌকা চলে লহর তুলে বহুদূর।
সন্ধ্যায় রঙিন মেঘের ভেলা, পাখিরা উড়ে যায় অচিনপুর।
কোন্ স্বর্গের বাস্তব ছবি দেখেছি আমি তা জানিনা!
এ যে আমার মাতৃভূমি বাংলা কারো নয় অজানা।
আমার দেশের রূপে আমি পাগলপারা কখনো মরিবনা!
তোমার মাঝেই রহিব মিশে মরিলেও তোমাকে ভুলবনা।