হঠাৎ দেখা,
গৌড়ক্ষণের এক বিকেলে গহনার দোকানে হঠাৎ দেখা!
নসিবে এই ছিলো! ভাবতেই পারিনি।
এর আগেও অনেক বার দেখেছি তাকে,
প্রায়ই নীল রঙের শাড়িতে আর
চার আঙ্গুলের কপালেও থাকতো নীল রঙের টিপ।
তবে আজকে পড়েছে খয়েরি রঙের শাড়ি
মাথায় তুলেছে আঁচল! অনেকটা বউ বউ ভাব!!
সোনা রঙ্গা হাত দুটোই মেহেদির মাখামাখি।
চিকন-গৌর শরীর যেন আর থেমে নেই।
মনে হলো গভীর একটা চাহনি তাকে ঘিরে আছে।
বসুবা আমায় তখনো খেয়াল করেনি।
তাকে দেখে আমার অস্থিরতা যেন বেড়েই চলেছে!
একটু সান্নিধ্য পেতে সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলাম।
থমকে গেলো আমার সমস্ত মন।
চেনা লোককে দেখলাম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হাতের গহনা গুলো রেখে কয়েক পা এগিয়ে
একটু নির্জনে গেলো সে। হাতের ইশারায় ডাকে আমায়!
আলাপ শুরু হলো!
কেমন আছ? কেমন যায় তোমার দিন? ইত্যাদি!
সে নিজের মত করে নিচ দিকে তাকিয়ে থাকলো!
যেন দূরের কিছুতে চেয়ে থাকা চাহনিতে।
ছোট খাটো দু একটা জবাব দিলো!
কোনটা বা দিলোই না!
কথা বলতে মোটেও ইচ্ছুক না সে
বুঝিয়ে দিলো অঙ্গভঙ্গিতে!
কিছুক্ষণ পরেই, লোক জনের কোলাহলের মধ্যেই
মৃদুস্বরে বলে উঠলো- কিছু মনে করোনা!
একটু পরে আমাকে যেতে হবে।
তুমিও চলে যাবে! আবার দেখা হবে কিনা জানিনা!
কিছুদিন পরেই যেতে হবে অন্যের সংসারে।
আমার বক্ষপিঞ্জরে কিঞ্চিৎ ব্যাথা শুরু হলো।
বসুবা আমায় জিজ্ঞেস করলো- আচ্ছা,
সত্যি করে একটা কথা বলবে আমায়?
আমি বললাম বলব!
কাজল চোখ দুটো আমার চোখে রেখে
আমায় সুধালো, তুমি কি এখনো আমায় চাও?
আমি বললাম, আমি বার বার বহুবার তোমাকে চাই
আমি বার বার হাজার বার তোমাকেই খুঁজে পাই।
বসুবা- আমার সময় শেষ, আমি চললাম!
অন্ধকার নর্দমার পাশে পড়ে রইলো
বুকবন্দী কিছু অসমাপ্ত জিজ্ঞাসা!