নিস্তব্ধতায় ঘেরা মধ্য রাত,
দূর আকাশে দেখা যাই বাঁকা একটা চাঁদ।
জ্যোৎস্না ছড়ায় সে নিজের মত। ঝিঁঝিঁপোকা ডাকে,
বাড়ির ছাদের উপরে বসে আছি একা।
হাতে কাগজে মুড়ানো তামাক পাতা, আগুন আর
ছোট একটা মুঠো ফোন, ভাবনার অন্ত নেই।
পুরো রাতের এই সময় টা যেন আমার কাছে
অসম্ভব ভালো লাগার একটা চাবি-কাঠি।
তামাকের ধোঁয়া বক্ষের অন্তরালে আঘাত হানে
কন্ঠস্বরে হয় কিঞ্চিৎ ব্যাথা, মাথা টা ঝিমায়। আর
একটু চোখ বন্ধ করলেই শুরু হয়
তিন মিনিটের ভুমিকম্প। হৃদয় কেপে উঠে।
সাথে মনের মানুষ গুলোর কথাও।
ভাবতে শুরু করি তাদের নিয়ে।
এই কম্পিত, লুণ্ঠিত আঘাতে বিচ্ছিন্ন হৃদয়ে
নিজস্ব নিয়মে জায়গা করে বসে আছে
প্রিয় অপ্রিয় পরিচিত কিছু মুখ।
তামাকের ধোঁয়া বক্ষের অন্তরালে আঘাত হানে
কন্ঠস্বরে হয় কিঞ্চিৎ ব্যাথা, মাথা টা আমার ঝিমায়। আর
ভাবতে থাকি সেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকাল,
কুসুম গরম রোদের দুপুর আর
গোধূলি রাঙা দক্ষিণা বাতাসের বিকেলের কথা।
সেদিন গুলো কি আর ফিরে পাবো না?
সেইদিনের মানুষ গুলো কি সব হারিয়ে গেছে?
নাকি যে যার নিয়মে নিজ রাস্তায় এগিয়ে চলেছে?
তাদের কি এই মুহুর্ত গুলো একটুও ভাবাই না?
নিজেই নিজের কাছে আজ প্রশ্নবৃদ্ধ ।
জিজ্ঞাসায় মুখরিত আমার বিকৃত মস্তিষ্ক।
তামাকের ধোঁয়া বক্ষের অন্তরালে আঘাত হানে
কন্ঠস্বরে হয় কিঞ্চিৎ ব্যাথা, মাথা টা আমার ঝিমায়। আর
আকাশের পানে চেয়ে থাকি
এই কম্পিত, লুণ্ঠিত আঘাতে বিচ্ছিন্ন হৃদয়ে
সাপুড়ের বিনের মত বেজে উঠে
বিষাদের আঁকাবাঁকা সুর, মাথা ঘুরে আমার।
কিছুক্ষণ পরেই দেখি চাঁদটি একটু সরে দাঁড়ালো।
কেন? সে-কি আমার উপরে অভিমান করলো?