সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবনের
পথটুকুর এক একটা রাস্তা অজান্তেই
দিশেহারা নাবিকের মত দিক বেদিকে চলে গেছে।
সমস্ত রাস্তার মোড়ে মোড়ে পরে আছে শুধু
অব্যক্ত কাব্য, গল্প আর আছে কিছু ভাগ্যে লিখা বড় বড় উপন্যাস, ইলিজি।
কাব্য বা গল্প, উপন্যাস অথবা নাটক
সবখানেই রয়েছে কিছু বাস্তব-কাল্পনীক চরিত্র।
তাদেরও একটা জীবন রয়েছে,
জীবনের গল্প রয়েছে। কে শুনে সেই গল্প?
কেই বা বোঝে, বোঝার চেষ্টা করে?
তবু দিন শেষে রাত আর রাতের গভীরতা
নিয়ে যায় আমাদের আলোর পথে।
সূর্যের প্রখরতা বাড়ার সাথে সাথে
বাড়ে জনমানবের ভীর, ব্যস্ততা আর
আবগের খুনশুটি নিয়ে বাড়ে ভালবাসা।
দিক-বেদিকে ছোটে মানুষ, অমানুষ
ছোটে কুকুর বিড়ালের মত ক্ষুধার্ত প্রানী।
ক্ষুধার তাড়নায় কেউ ঘাম ঝড়াই
কেউবা আচোল মেলে, খুলে দেই
লালোসী পুরুষের সামনে শরীরের কাপড়।
ভিক্ষার থালা নিয়ে বৃদ্ধ বসে থাকে পথে,
নেশার অর্থ যোগাতে কেওবা হানা দেই
শীর্ণ, জীর্ণ শক্ত হয়ে পরে থাকা লাশে।
তবুও দিন চলে যাই, ক্লান্ত বিকেল শেষে
দূষিত নগরীর সন্ধ্যার আকাশে দেখা দেই
সাত রঙের ধুনুক আকৃতির স্পষ্ট রং্ধুনু।
চোখের নিচে ক্লান্তির ছাপ মুছে যাই
সিগারেটের সাথে এক কাপ চায়ের চুমুকে।
প্রেম ভালবাসার বেড়াজালে বন্দী হয়ে
অনেকে রঙিন স্বপ্ন দেখি, চোখে মুখে আকি
কাল্পনিক চিত্র। রঙিন সেই সপ্ন গুলোই
এক সময় রাতের অন্ধকারে সাথে
হাতে হাত, পায়ে পা মিলিয়ে হানা দেই
রাক্ষস দানবের মত, কলিজায় আঘাত হানে।
প্রিয়জনের পরবাস এক সময় আমাদের
অস্থির করে দেই, পাগলে পরিনত করে।
মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে পড়ে, দিশেহারা হয়ে
ঢলে পরি অন্ধকারের দিকে, আর সেই অন্ধকার
অকালেই কেড়ে নেই কিছু চেনাজানা মুখ।
উপহার দেই কিছু প্রাণহীন শরীর।
সবার গল্পটা এক হয়না।
কিছু গল্প থাকে নিজেকে জয় করার,
প্রতিষ্ঠিত করার, সমাজে নিজেকে তুলে ধরার।
সেখানেও থাকে কিছু হায়নাদের আঁচড়।
তারা সবসময় পেছন থেকেই আঘাত করতে থাকে।
উপরে উঠতে থাকা মানুষের পা ধরে, টেনে
নিচে নামাতে পারলেই তাদের শান্তি।
সমাজের দোহায় দিয়ে তারা লুফে নেই
অদৃশ্য কিছু প্রাপ্তি। হয়তো ওতেই তাদের সুখ।
আমরা কেউ কারোর সুখে সুখি হতে চাই না।
আমরা চাই অন্যকে অপমানের বাজারে
চড়া দরে বিক্রি করে এক ব্যাগ ভর্তি সুখ কিনে
আপনজদের নিয়ে সুখে থাকতে।
সুখের অতিরিক্ত টুকু আমরা ফেলে দিতে রাজি
কিন্তু একজন অচলকে দিয়ে সচল করতে
আমাদের চরম অনিহা। আমরা মুখ ফিরিয়ে নেই।
অথচ একদিন আমরা অচীরেই হারিয়ে যাব