হঠাৎ এক পলক মেলি,
এক অপরূপ লাল পরী।
যেন সূর্যের রশ্মি চমক পড়ে
তাহার তনু বিদুৎ চমকায়।
দেখিয়া প্রাণ আকুল হয়
শত স্বপ্নের বাগিচা ফোঁটে
মোর হৃদয় গহীনে উল্লাস।
মুখমণ্ডল মৃদু মৃদু হাসি,
যেন বাঁকা শশী করে খেলা।
বসন্তের পবন বহে চারি ধারা।
তাহার কেশ বটমূল শিকড়
যেন কালো মেঘের উদয়।
নাসিকা সরল রেখায় অংকিত।
ভ্রু ধুনকের ন্যায় বক্র শোভিত।
ওষ্ঠ তে রক্তিম বর্ণ রাঙানো ।
এমন অপরূপ সৌন্দর্যের নন্দিনী,
এ ভুবনে কবু দেখিনি।
প্রতিটি নিঃশ্বাসে তাহার স্মৃতি,
মনের ভিতরে তরঙ্গ সৃজন।
সারা নিশি কাটিয়ে গেল
তাহার দৃষ্টিতে দৃষ্টি যুগল হইয়ে।
জানি না তাহার হৃদয় কথন
সে কি মনে রাখিব?
আমি তাহার অপেক্ষায়।
ঐ দিবসটি ছিল
স্মরণীয় একুশে ফেব্রুয়ারি ।
মাতৃভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসারসহিত
মোর হৃদয়ে তাহার ভালোবাসা উৎপত্তি।
এই প্রথম এমন এক মনোরম দর্শন
যাহা ভুলিতে চাহি নাহি ভুলিতে পারি ।
আমার হৃদয় তাহার ভাবনায় পূর্ণ।
নিঃসঙ্গ জীবনে তাহাকে পাবো কি?
চাঁদ যদি মৃত্তিকায় নামিয়ে আসে,
পিঁপড়েরও দর্শন মিলে।
থাকিব তাহার অপেক্ষায়!