জানি মৃত্যু কেমন!
মৃত্যুভয়ে ফ্যাকাসে নীলকণ্ঠ
শঙ্খে বাজে না ধ্বনি, নৈঃশব্দ্যে কেমন আছেন
দুঃসময়ের বুদ্ধদেব!
মৃত্যুভয়ে যখন খোঁজ আরও জীবন, ভোগ
বনপলাশীর পদাবলী, তখন হাসি
আর ভাবি কত ক্ষীণ স্মৃতিশক্তি, মৃত্যুর অনুভূতি
একবার বৃক্ষ হয়ে জন্মেছিলাম গার্ডেনে
হৃদপিণ্ড খোদাই করতে করতে ...
নিঃস্তব্ধ করেছিলে আমার হৃদপিণ্ড
তারপর বৈজ্ঞানিক হয়ে বাঁচিয়েছিলাম সন্তানদের
লিখেছিলাম ' ডোন্ট টাচ মী ' ; আমায় স্পর্শ কোর না
একবার পাখি হয়ে উড়ে বসেছিলাম
কবির জানালায়, বাঙালি কবি নয়
তিনি ঐশ্বরিক দৃষ্টিতে বলেছিলেন
' ইউ আর সো সুইট লাইক মী '
তুই আমার মতো মধুর!
তাই এ'জন্মে কবি হওয়ার ইচ্ছা ছিল
এরপর তো আর জন্ম নেই, চিরআকাঙ্ক্ষিত আত্মমুক্তি
কবিমন বারবার সেই আলোর উদ্দেশে ...
ট্রেন ছেড়ে দিলেও রয়ে যায় স্টেশনের ধ্বনি ।
( কাব্যগ্রন্থ - আহত আগুনের কবিতা )