আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, কালপুরুষকে আমরা প্রণাম করি, শ্রদ্ধা জানাই।
জীবনের পথ চলতে চলতে বৃক্ষ, নদী, পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, অরণ্যকে আমরা ভালোবাসি,
পূজা করি।
পথ চলতে চলতে মন্দির, চার্চ, মসজিদ, গুরুদ্বারা, বৌদ্ধ স্তূপ, মনীষীদের গৃহ দেখে আমরা থমকে দাঁড়াই,
মাথা নত করে প্রণাম করি।
হাঁ আমরা হিন্দু।
আমরা সনাতন, চিরন্তন, শাশ্বত।
ধর্মের চেয়ে দেশের প্রতি আমাদের প্রেম বেশি,
দেশপ্রেমের চেয়ে মানবতার প্রতি টান আরও বেশি!
তাই আমরা জন্মগত ধর্মনিরপেক্ষ, সাম্প্রদায়িক হতে শিখিনি।
আমাদের মহান ধর্মগ্রন্থ এবং সংবিধান কখনও সংখ্যালঘু, নারী, শিশু, এমনকি অবলা পশুপাখিদের প্রতি বিদ্বেষ করতে শেখায়নি।
বরং এরাই আমাদের উপর সর্বদা ভারী হয়ে থাকে। আমাদের প্রশাসনের রক্ষাকবচ তাদের রক্ষার জন্য সদা সতর্ক।
কারণ আমাদের দেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের দেশ।
হাঁ আমরা হিন্দু।
আমরা সনাতন, চিরন্তন, শাশ্বত।
প্রতিবেশি ইসলামিক দেশগুলিতে যখন সংখ্যালঘু হিন্দু ভাই-বোনদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়,
সম্পদ লুঠ করা হয়,
মা-বোনেদের ইজ্জত ধ্বংস করা হয়,
মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়...
অত্যাচারী নির্লজ্জ জহ্লাদদের ভয়ে হিন্দুদের শরণার্থী হতে হয়...
অসহায় সংখ্যালঘুদের অশ্রুতে ভেসে যায়
ধর্মের প্রতি মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা, নির্ভরতা!
রাগে, যন্ত্রণায় আমাদের রক্ত টগবগ করে,
ইচ্ছা হয় কোটি কোটি হিন্দুর মিছিল আছড়ে পড়ুক সেইসব ধর্মান্ধ কাপুরুষদের রাজধানীতে!
ভয়ংকর ভয়াবহ শাস্তি হোক শয়তানদের।
বিশ্ব দেখুক কন্যাকুমারী থেকে আত্তারি-ওয়াঘা বর্ডার, রাজস্থান থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল বর্ডারের রাস্তায় কোটি কোটি মানুষের মিছিল, শুনুক হিন্দুদের প্রবল বিধ্বংসী গর্জন!
হাঁ আমরা হিন্দু।
আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি,
কিন্তু কাপুরষ, স্বার্থপর, সুবিধাবাদী নই।