ইতিহাস ছিল পরাধীনতার,
এই জনপদ চেয়েছিল স্বাধীনতা।
যুগের কবিরা কবিতা লিখেছে, বিদ্রোহী কবিতা,
নেতারা গিয়েছিল মিছিলে, ছিল বিক্ষুব্ধ মিছিল।
তবুও আসেনি স্বাধীনতা।
স্লোগান ছিল কবিতার স্তবকে,
দ্রোহ ছিল গ্রামে-গঞ্জে, শহরের অলিগলি পথে।
নদী ও পাখিরা চেয়েছিল স্বাধীনতা,
চেয়েছিল স্বাধীনতা দেশের শিশুরা,
তবুও আসেনি, তবুও আসেনি স্বাধীনতা।
প্রতীক্ষায়-প্রতীক্ষায় ডাক আসে বিংশ শতকের,
কেটে গেল আরও উনিশ বছর।
যে শিশুর জন্ম হলো টুঙ্গিপাড়া গাঁয়ে,
যার বুকে গাঁথা ছিল জয়বাংলা নাম,
যৌবনকল্লোলে বাজালো সে মুক্তির দামামা।
এনে দিল শোষকের বুক ছিঁড়ে প্রিয় স্বাধীনতা।
যত কুলাঙ্গার চেয়েছিল মুছে দিতে,
পারেনি, পারেনি মুছে দিতে তাকে।
মধুমতি সাক্ষী আছে বাংলার মাটিতে,
সাক্ষী আছে বিরহী জননী, লক্ষ শহীদের প্রাণ।
পঁচাত্তর পারেনি, পারেনি দোসরের দল,
এতো কি সহজ মুছে দেওয়া?
শতবর্ষ পরে জোয়ার এসেছে চর্যাপদের ভূমিতে,
এসেছে মুজিববর্ষ প্রগতির পথ ধরে।
এ পথে এ দেশ যাবে নক্ষত্রের কাছে।
কে রুখে এবার, কে বাঁধে শিকল?
উত্তরাধিকার এখন ধরেছে হাল,
আবার এসেছে রাতঘুম কেটে নতুন সকাল।
----------------------------------------
রচনা: ১১/০১/২০২০ ইং, চট্টগ্রাম।