কত দিন ধরে তোমার পথপানে প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছি,
যেন বহু কাল ধরে পাহাড়সম অনন্ত পথে পথে বিরামহীন হেঁটেই চলছি দিন কি রাত তবু যে শেষ হয় না আজ অবধি,
বৃষ্টির পরম ছোঁয়ার স্পর্শের জন্য, চৈত্রের রৌদ্রে মৃত্তিকার বুকফাঁটা আর্তনাদ,
আজও ভালোবাসার মহিমা পাবার অপেক্ষায়,
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুলের শোভা পেতে কেউ আজি বের হয় না,
কত দিবস রজনী গেল পার উন্মাদ মত্তে তোমাকে পেতে।
চাঁদের মায়াবী জ্যোৎস্নার তরঙ্গে কত দিন গাত্র ভাসেনি,
ক্ষুধার তাড়নায় চাঁদের মায়াবী আকর্ষণ আর হৃদয় ছুঁয়ে না,
বিশ্বময় মৃত্যু মিছিলে তামার এমন রুদ্র একেবারেই বেমানান।
শুধু চঞ্চল এই মন বাঁধন হারা থাকিবার চায় দিগন্ত থেকে দিগন্তে,
শুধু তোমার পথ পানে চেয়ে কতটি প্রহর দিলাম পাড়ি, শুধুই মরিচীকা
কতকাল ধরে পাহাড়ি ঝর্ণার তন্দ্রা লাগা কলকল ধ্বনি শুনিনা,
স্রোতের টানে তরঙ্গে গা ভাসিয়ে ঢালু পথে কত দিন গত হলো!
মন মাতানো হুল্লোড় আবার দেখার সুদিন কবে আসবে বলো ?
বিরহে বিরহে বাকীটা জীবন নি:স্তব্ধ পৃথিবীর নীরব দর্শক হবকা,
আভাবে বাঁচবার জন্য আর মৌনতার মিছিলে আমাকে পাবে না,
আমি আবার প্রকৃতির সবুজ শ্যামলরূপে তোমাকে পেতে চাই।
যেখানে থাকবে সুনীল আকাশ, স্নিগ্ধ সমীরণ, মায়াবী চাঁদ, রক্তিম সূর্য
গোধূলীর ক্লান্ত বিকেলে দিগন্তে রবির মায়াবী কিরণ, পাহাড়ি ঝর্ণা ধারা।
রাজপথে জন-যানের কোলাহলে ও মেঠো পথে গ্রামীণ মানুষের উচ্ছ্বাস,
আজই বৃষ্টির পরম স্পর্শে মৃত্তিকার তৃষ্ণা মিটিয়ে সবুজ রূপে ফিরে এসো,
কথা দিলাম, তোমারি হৃদয়ে কুঠারী আঘাত আর হবে না,
সবুজ শ্যামল অরণ্যে ঘেরা তুমি ফিরে এসো তোমার অপরূপে।।