প্রিযতমা তুমি কেমন আছো
আগের মতই কি আজো
বিকেল হলেই চুলটি বেঁধে
টিপটা পরে সাজো?
খুকু আমার এখনো কি
হাঁটে টলমল করে?
দুহাত বাৱিয়ে ডাকলে কাছে
জড়িয়ে এসে ধরে?
সন্ধ্যা হলে আজও কি মা
সন্ধ্যাপ্রদীপ হাতে
তুলসীতলায় পুজো করে যায়
ঠাকুরঘরে,ছাতে?
ভুলোকুকুর এখনো কি
যদি কেউ দারে কড়া নারে
আমি এসেছি ভেবে ছুটে যায়
জোরে জোরে লেজ নেড়ে?
জানিনা তোমরা কেমন আছো
কেমনে কাটছে দিন?
আমি ভালো আছি
উতলা হয়োনা
বাঁচার আশা ধীরে ধীরে
ক্রমশ হচ্ছে ক্ষীণ ৷
আজকে পুরো দশ মাস হল
মোদের বন্দীদশার
দিন ফুরোচ্ছে যতই
হচ্ছে অবসান সব আশার ৷
সোমালিয়া কত দূরে
ভারতবর্ষ হতে
মর্মে মর্মে বুঝতে পারছি
সকলেরই সাথে ৷
পণবন্দী নাবিক আমরা
আজ ভাগ্যদোষে
অন্ধকুঠুরীর অধিবাসী
অন্ধআশায় বসে
দিন গুনছি একদিন আবার
হযতো পাব ছাড়া
যাব ছুটে তোমাদের তরে
হবে সর্বদুখের সারা ৷
জানি সবই মিথ্যা ভাবনা
তবু আশায় যে বুক বাঁধি
সবাই মনে বিশ্বাস রাখি
ঘুচবে সকল আঁধি ৷
ক্যাপ্টেনকে খুন করল সেদিন
সাগরে ফেলে দিল
হতভাগ্যের করুণ পরিণতি
সবাই বুঝে নিল ৷
এরপরেতে কার যে পালা
কেউ তা জানেনা,
হবেনা ফের আর কোনদিন দেখা
(কিন্তু)কেউ তা মানেনা ৷
লিখছি তোমায় খোলা চিঠি খানি
আজ শারদ বোধন বেলায়
হয়তো কভু পাবেনা তা
জীবনের এই খেলায় ৷
তবুও জানি বলছ তুমি
মা দুর্গার চরণে
সকল আঁধার বিনাশ করে
স্বামীকে ফিরিয়ে দাও ঘরে ৷
জানিনা আর ইহজনমে
মিলন হবে কি না প্রাণসখী?
রইল পৱে খোলা চিঠিখানা
চোখের জলে মাখামাখি ৷৷৷