পর্ব-(১)
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস টা দিন দিন কমে যাচ্ছে,
তবে এ মোটেও ভাল লক্ষণ নয়।
যাহা শুরু করছি তা যদি আমার হাতেই শেষ না হয়,
তবে তো ধিক্কারের গ্লানি টানতে হবে পুরো প্রজন্মকে।
সমাজ আর লোক চক্ষুর ভয় ক্রমাগত-ই তাড়া করছে,
কি জানি একটা অপশক্তি!
-তবে কিসের এতো পিছুটান?
-কিসের এতো বাধা?
-কিসের এতো ভয়?
মৃত্যু----?
ইতিহাস সাক্ষী যুগে-যুগে কত জনে-ই তো-
লাভ করতে চেয়েছে অমরত্ব,
তারা কি পেরেছে?
তবে কিসের এতো সংশয়?
কে না চায়, তার মৃত্যুটা সম্মানের সহিত হোক?
চার-দিকে শুয়োরের বাস,
তবে কেন আমায় মানুষ দেখতে চাস?
ভয় যেন আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে,
রক্তের মহাসাগরের সাঁতারের প্রতিযোগিতা।
নিরঙ্কুশ পরাজয় মাথায় নিয়ে নির্লজ্জের মতো দেহ ত্যাগ!
চারদিকে আত্মাদের চিৎকার,
নিরব দর্শক ভুমিকায় নিজেকে আবিষ্কার।
চোখে-মুখে আগুনের ঝলকানি,
ভিতরে কলিজা পোড়া গন্ধ।
কন্ঠ-নালীতে অদৃশ্য শক্তির চাপ।
শহর জুড়ে শয়তানের জয়-জয় গান।
বানরের হাতে মুক্তোর খুড়াল,
ধ্বংস-স্তব্ধে দাড়িয়ে পরিবেশ।
নিশ্বাসের সাথে লাশের গন্ধ।
রাজপথে মৃত্যুর মিছিল,
ক্ষণে ক্ষণে রক্তের জমাট।
চারদিকে শুয়োরের উৎপাত।
এ যেন এক স্বর্গের স্তুপে-
শয়তানের নিবাস।
মূর্খদের মুখে চেতনার বাণী,
শত্রুর সাথে বাস।
শিক্ষাঙ্গনে আজ সন্ত্রাসের মহড়া।
শিক্ষকরা খায় মার,
রক্ত মাখা হাতে আজ রাজ-সিংহাসনের ভার।
গুণীদের কদর মৃত্যুর পর,
বেঁচে থাকতে গালে চর।
শহীদ মিনারে সহস্র মহড়ায় বাতাসে থরথর।
চেতনার ফেরিওয়ালা-দের হাতে স্বাধীনতা চুরি,
রাজাকারের কাঁধে আজ মুক্তির ফেরি।
নারীর স্বাধীনতা নামে গণধর্ষণ।
প্রেমের নামে দেহ হনন।
শিক্ষকের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছিত,
ডাক্তারের হাতে দেহ সঞ্চিত।
#চলবে
------------#সফিল মোহাম্মদ