রমনা পার্কের-
হাজারো প্রেমিকদের রঙ্গলিলা দেখে,
তোমার বেশ হিংসে হয়!
তখনি তোমার ইচ্ছা জাগে,
আমার কনিষ্ঠা আঙ্গুলটি ধরার।


চাঁদনি রাতের চাঁদ-টিকে, কি দেখেছো?
কি অজরে হাসছে!
দু'টি তারা কে নিয়ে সারাক্ষণই খেলা করছে।
তুমি চাঁদের যে হাসি দেখে উতলা হয়েছো,
সেটা কিন্তু তার নয়।

আমি এক ব্যর্থ প্রেমিক,
তোমার প্রেমের ভিখারি,
তুমি কখনো তোমার নীড়ের,
আমায় কাছেও ঘেষতে দাও নি।

তবে কেন আজ এতো প্রতিক্ষা?
যা তুমি কখনো কাউকে দেও নি,
তা প্রত্যাশা করো কেন?

চা গাছের মেঠো পথ ধরে,
যখনি হেটেছি বারবার তোমার-
হাতটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছি।
তবে তোমার চোখের কোণে জন্মানো,
যে ভালাবাসা দেখেছি সেটা কার জন্য ছিলো?

আমি এক ব্যর্থ প্রেমিক,
তোমার প্রেমের ভিখারি।
তোমার মনের ক্যানভাসে,
আমার একটুখানি ঠাঁইও হয় নি।

বুড়িগঙ্গার তীরে,
আমার তোলা ছবিটি এখনো-
তোমার কাভারে ঝুলছে,
তবে কি এগুলো সব আমার প্রতি,
তোমার করুণা ছিল মাত্র?

আমি এক পাষণ্ড প্রেমিক,
যে অধিকার তুমি কখনো জন্মই দেও নি,
সে অধিকারে দোহাই দিতে আজ এসো না।

আমি যখনি তেমার প্রশংসা করতাম,
তুমি কি বলতে মনে আছে?
মুখে একটুখানি অট্র হাসি দিয়ে বলতে,
তোমরা কবি'রা পারোও বটে।
কবি-দের  সাহিত্যের ভাষা বুঝা বড় দায়।

আমি এক ব্যর্থ কবি,
আমার আবেগ, অনুভুতি,-
তোমাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
তুমি একটি বারও ভাবোনি-
আমার কবি হয়ে ওঠার রহস্য টা কি?
যে অনুভুতি তুমি কখনো বুঝই নি,
সে অনুভূতি দোহাই দিতে আজ এসো না।

তুমি যখনি আমার মাথায়-মাথা রাখতে,
আমি একপেশে হয়ে-
তোমার হৃদয়ের কথা শুনতাম।
তোমার চোখের পানে থাকিয়ে,
কেন বারবার আমি স্বপ্নের আদলে ভেসে যেতাম,
তা তুমি কখনো বুঝই  নি।

আমি এক পাষণ্ড প্রেমিক,
যে চোখের ভাষা তুমি কখনো বুঝই নি,
সে চোখে মায়া লাগাতে আজ এসো না।

রচনা কালঃ- ৬/০৮/২০১৯ইং