যৌবনের চাহিদা ত্যাগিয়া জীবিকার তাগিদে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে রেখে শহরে এসেছে স্বামী। দিনের পর দিন যায়, মাসের পর মাস।স্বামীর উপার্জিত টাকা আসে, স্বামীর লাগানো ফুল গাছটায় ফুল আসে। কিন্তু স্বামী আসে না। কংক্রিটের শহরের মতোই কি তার হৃদয়। একবারও কি তার প্রিয়া রে মনে পড়েনা। স্বামীর পাষাণ অন্তরের অন্তরালে যে ব্যথা বেদনার ঝরনা-ধারা, প্রতিদিনি স্বামীর জন্য অপেক্ষামান স্ত্রীর যে আকুলতা তাকেই লক্ষ করে গেয়ে ওঠে নিবেদিতা স্ত্রী–


উঠানের বাগে ফুল এলো তুমি এলে কই,
আনমনা মনে বাতায়ন খুলে চেয়ে শুধু রই,
        দেখে আমার ডাগর আঁখি
        শালিক করে ডাকা ডাকি
  তোমার কথা মনে পড়ে একা ঘরে রই।।

ঝরা পাতার শব্দ শুনে হঠাৎ চমকে উঠি,
তুমি বুঝি এলে ফিরে দরজা খুলে দেখি।
        তোমার দেখা না পেয়ে
         অশ্রু ঝরে গাল বেয়ে
আমার চোখের জলে বন্ধু বালিশ ভিজে নিত্যই।।

তুমি আসবে বলে নিত্য সাজি বাঁধি খোপায় ফুল,
ননদিরা তামাশা করি ছড়ায়ে দেয় চুল
          কাটে না বিরহের রাতি
          নিত্য কেন্দে হয় প্রভাতী
তোমার পথপানে চেয়ে চেয়ে দিশেহারা হই।।