চারিদিকে কি শোভাময় চোখ জুড়ানো তোমার রুপ
তোমার বুকের মিঠা জলে সকাল সাঝে দেই যে ডুব।
সবুজ রঙের শাড়ি পড়ি সাজো যখন বঙ্গ-ভৃমি
ইচ্ছে করে তোর শরীরে ঢলে পড়ি চরণ চুমি।
উধ্বে হতে তোর নহরে পড়ে যখন চাঁদের কিরণ
নেচে নেচে টেউ তুলিয়া হয় বুঝি তোর আশ পূরণ।
বর্ষা এলে দু'ধারে তোর ফোটে নানান রকম ফুল
ভরা ডুবি হয়ে রে তুই নিজেই ডুবাস নিজ দু'কুল
রুপ যে তবু কমে না তোর ওহে রুপবতী
মনটা আমার যায় নিয়ে যায় তোমার স্রোতের নদী।
দুচোখ আমার যায় যে দিকে দৃষ্টি যতদূর
দেখি তোমার রুপের ছবি রুপ যে আহা কী মধুর।
ফাল্গুনে লাল শাড়ি পড়ে সাজো নতুন-বধুর মতন
হেমন্তে তোর মাঠ জুড়িয়া ছড়ায়ে থাকে স্বর্ণ-রতন।
রাত্রী শেষে পুব আকাশে সূয্য যখন উঠে হেঁসে
তোমার শিশির ভেজা রুপ লাবণ্য ফুটে উঠে দূর্বা ঘাঁসে।
তোমার কোলে জন্ম নিয়ে ধন্য আমি ও জননী
আমার কাছে সবার থেকে প্রিয় আমার মাতৃভূমি।