বধু বিদায়ের রাতি
কাদো নি-কো তুমি উটেছিলো আসমান কাদি
কাপে নি-কো বুক তোমার কেপেছিলো ধরণীর মাঠি
চৈতি খরার রোদ্রদাহে গিয়েছিলো তার বুক ফাটি।
পথের ভিখারি খুব চেয়েও পায়নি ভিক্ষা তোমায়
টলো নি-কো তুমি গলেনি ও মন এতটুক করুণায়।
শোনো নাই তুমি আত্মার আকুতি আয় ফিরে আয়
বেদুইন তার হারিয়ে উট ডাকে আর কেদে ফিরে যায়।।

ফাল্গুনের আগুন বুকে ওগো শাওনের চাদ
তুমি বুঝবেনা কত পোড়ায় মোরে তোমার জ্যোসনা রাত।
জানি প্রিয় জানি আমি আমার কাঁটার জ্বালায়
জাগিয়া করো রাত্রী যাপন, কাদো অবেলায়

ভোলো মোর স্মৃতি
পেয়ে যারে হারিয়েছো ফের তারে পাবে কি??


করো আফসোস!
যত পারো দেও গালি দেও যত দোষ।
গালি দেবে কারে বলো দোষ দেবে কারে
পরাণের চেয়ে ভালো বেশি বেসে ছিলো যে?
অপমান সহে তোমায় নিয়ে থেকে ছিলো যে-
তারে দোষি করা কি -।তোমার সাজে?
হ্যাঁ তাহার ই দোষ কেনো সে তোমারে ধরে রাখেনি
কেনো আঘাত এর পরও ক্ষত বুকে ব্যথা বাজেনি।
যে থাকবে ভালোবেসে তার কিসে অজুহাত
হাজার বিপদ এলেও গলাগলি ধরি রবে এক সাথ।
নিষ্ঠুর তুমি আপনার হাতে ছিড়ছো বন্ধন মালা
হাজার কাদিলেও আর ফিরবে না শুভ লঘণের বেলা।


তুমি সুখি হও!
আতা গাছে ডাকিছে তোঁতা- বউ কথা কও!
আজ কত কথা পড়ে মনে শত ব্যথা ভাসে বুকে
কত বিরহ-বেদনা পেলে বলো জল ঝরে চোখে।
বনের পাখি পোষ মানে তুমি হায় মানলে না-
এতো ভালোবাসা তবু আমায় জানলে না।
হয় তো মিটাতে পারিনি তোমার ছোটো ছোটো আবদার
ব্যথা নিয়ে আমিও তো তোমার সাথে থেকেছি অনাহার।
দারিদ্র্যতা সেতো খোদা তালার বড় নিয়ামত,
শুনেছি এই নিয়েও কত কথা কত অভিযোগ।
তবু সবার নিকট তোমারে বড় করে ধরেছি নিজেরে করে নিচু
তোমরা অপমানের পর অপমান করেছো কখনো বলিনি কিছু।
পাষাণের আঘাত করিনি তোমায় দিয়েছি ফুলের আঘাত
নিজেরে দলিয়াছি তোমারে দলিনি দেখেছো প্রতি রাত।
কবিরা এমোনি হয় ওগো তোমার জানা নাই
কবিরা সকল ব্যথা সহে অপমান নাহি সয়।


অতিথি পাখি
রিদয় কাননে বসিয়া কেনো করো ডাকাডাকি।
বিচ্ছেদে যার এতটুক মায়া জাগেনি
মুখ ভরা হাসি যার চোখ ভরা পানি।
কেনো পিছু ডাকো কেনো মনে রাখো তারে-
কেনো তার গান গাও তারি রচা সুরে।
তোমার অবহেলা দিয়ে যারে করেছো পাষাণ
তারে কী পারবে ফেরাতে? যতই করো অভিমান।
তোমার চোখের লোনা জল বুকের হাহাকার
পারবে কী আমার পাষাণ দিলে ফুল ফুটাবার।
অতিথি হয়ে এসে ছিলে  পাশে থেকে দুদিন-
তুমি তো হায় চলে গেলে দিয়ে গেলে ব্যথা ঋণ।

বরষার রাতি
ঝড়ে ভিজে এসেছিলে ডানাহীন পাখি
বুকের উষ্ণ তাপে জড়িয়ে দুর করে শীত
অজীবন পাশে থাকার শোনালে যে গীত।
সব ছিলো কি মিথ্যা ? সব অভিনয়!
নিজ হাতে গড়লে যে ঘর ভাংলে তা ছলনায়?
মনে কি পড়ে তোমার? আমার সেই কবিতা গান
আলোর প্রদীপ আমি আধাঁরে করি আলো দান।
তোমারে জ্বালাইনি নিজেরে জ্বালিয়ে নিশিত করেছি পার-
কন্ঠে তোমার পড়িয়েছি সেদিন আমার কন্ঠের হার।
কবির কবিতা শুধু কি নিছক গল্প? তুমি বুঝলে না রাণি!
বুকের মানিক রে বুকেই রেখে বাহিরে করো কানাকানি।
বুঝলে না তুমি জীবনের তরেও আসে বৈশাখী ঝড়
তাল গাছের মত দাড়িয়ে থাকতে হয় বুঝেছো অতঃপর।।