নির্লজ-বেহায়া চোখের জলেরা কেন জানি ডাকার আগেই বাইরে চলে আসে।
কোনো পর্দা করে না, একেবারে উলঙ্গ।
একেবারে উলঙ্গ লোনা-পানি।
এই মেয়ে, ওদের ঘরে ঢুকতে বলো।
ওরা অক্ষি-নিকেতনে পরমানন্দে শুয়ে থাক, বিশ্রাম নিক।
আমি যখন চলে যাব কখনো না ফেরার দেশে-
তখন তারা উতসব করে বের হতে পারবে।
নগ্ন উতসব হবে সেদিন, চোখের জলের নগ্ন নৃত্য হবে সেদিন...
এই মেয়ে, আমি তোমাকে এক আকাশ বর্ষা উপহার দেব।
বর্ষার উঠোনে তোমার পায়ে আমি জলের নূপুর পরিয়ে দিব,
এতোটুকু কাদা না লাগিয়ে, সত্যি বলছি!
কেঁদো না। অভিমানের গলায় প্রেমের শানিত ছুরি বসিয়ে দাও।
লোহিত শোনিতে ডুবে যাক অভিমান,
তোমার মায়াবী কান্নারা মরে যাক।
এই মেয়ে, এখনো কাঁদছ কেন?
এই নাও একটি রঙিন পুতুল।
এই নাও একখানি ধবধবে সাদা আকাশ।
এই নাও তোমার প্রিয় বিড়ালের মিউ মিউ ডাক।
এই নাও বুক চিড়ে বের করা জলজ্যান্ত কিছু কবিতার লাইন...
------------------------------
সাহিত্য সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সাহিত্য সম্পাদক, গ্লোবালপোস্ট২৪ডটকম।