কোনো এক রাত্রিতে জ্বলে উঠে এক নাম না জানা নক্ষত্র,
ঐ প্রাচীন-প্রাগৈতিহাসিক আসমানের বুকে।
আমি তাকে দেখেই তার একখানা সুন্দর নাম রেখে ফেলি - 'তোশিকা'
আমি আনমনে ঠোঁট গোল করে একবার মৃদুস্বরে 'তো-শি-কা' উচ্চারণ করি।
নক্ষত্রটি হেসে উঠে, হয়ত সে আমার কথা শুনতে পেয়েছে,
নক্ষত্রটি মিটিমিটি জ্বলছে(বোধহয় হাসছে!)
.
আকাশের বিস্তৃত চাদরে অগণিত নক্ষত্র শুয়ে আছে,
আজ থেকে ওদের নূতন সঙ্গি 'তো-শি-কা'।
আমি সপ্নে দেখেছি নক্ষত্ররাজির একখানা সুসংহত সংবিধান রয়েছে।
সেই সংবিধানের প্রথম ও প্রধান অনুচ্ছেদের সারাংশ হল,
"একটি নক্ষত্র ঠিক ততদিন বেঁচে থাকবে যতদিন পৃথিবীর কোনো কবি তাকে ভালবাসবে।"
.
আমি তোশিকার মানসিক কিংবা শারীরিক কোনোরূপ মৃত্যু চাই না,
আমি তাকে আজীবন ভালোবেসে যাবো,
সে আজীবন বেঁচে থাকবে মহাবিশ্ব নামক অতিকায় এই যৌথ-পরিবারে।
আমার শরীরের সকল শিরা-ধমনী-কৌশিক জালিকা ছিন্নভিন্ন করে দেখতে পারো,
আমার রক্তকণিকাগুলো প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ-কোটিবার 'তো-শি-কা' 'তো-শি-কা' বলে চিতকার করছে।
.
আচ্ছা, পৃথিবীতে কি এমন কোনো বৈজ্ঞানিক আবিস্কার আছে-
যেটি 'তোশিকা'কে "ভালোবাসি" বললে তার- কয়টি নিউরণ পরম আনন্দে নেচে উঠে তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসেব দিবে?
আমার খুব দেখার ইচ্ছে সেই পরিমাপ, খুউব!
-----------------------------
সাহিত্য সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সাহিত্য সম্পাদক, গ্লোবালপোস্ট২৪ডটকম।