ঘুমের রাজ্যে উৎসব চলছে,
স্বপ্নপাখির কলরবে মুখরিত হয়ে আছে অখন্ডিত নিদ্রারাষ্ট্র।
মেয়েটি, যার দিকে আমি সুযোগ পেলেই তাকিয়ে থাকি অপলকে-
সে মেয়েটি গত কয়েক রাত আগে
আমার স্বপ্নরাষ্ট্রে অতিথি হয়ে চলে এসেছে।
তার নিস্পাপ মুখের অমৃত হাসিতে
স্বপ্নরাজ্যের প্রতিটি স্বপ্নকণিকা স্পন্দিত হয় বারংবার।
.
আপনারা সকলে আমাকে চিনে রাখুন, আমি কবি।
আমি পৃথিবীর একমাত্র কবি যে কিনা অন্তত একটা কবিতাও লিখেনি।
কবিতারা সংখ্যাতীত সংখ্যক হয়ে এখনো আমার নিউরন-আকাশে পাখা ঝাপটিয়ে উড়ছে,
কবিতারা চিন্তার বৃষ্টিতে ভিজছে, বিরহের রোদে পুড়ে হয়ে যাচ্ছে তামাটে।
কবিতারা মাঝে মাঝে চিতকার করে বলে উঠে,
আমরা বের হতে চাই এই অসহ্য নিউরনাকাশ থেকে!
.
আমি রাজা, আমি আমার বিস্তৃত স্বপ্নরাজ্যের একমাত্র মাননীয় মহাশয়!
স্বপ্নরাজ্যের প্রতিটি স্বপ্নকণিকা আমার প্রজা।
ওরা দিন-রাত আমাকে কুর্ণিশ করে,
আমাকে পুলকিত করে অবিরাম।
.
মেয়েটি, যার দিকে তাকালেই মরে যেতে ইচ্ছে করে,
সে সাতরাতের আতিথ্য গ্রহণ করেছিল আমার এই সপ্নরাজ্যে,
তারপর- যাওয়ার বেলায়- দেখতে পেল এই রাজ্য থেকে বেরুবার কোনো পথ নেই।
আমি শীতল কন্ঠে মেয়েটিকে বলি,
ভয় পেও না, স্থির হয়ে বসো।
আজ থেকে তুমি আমার রাণী!
মেয়েটি নিশ্চুপ তাকিয়ে আছে স্বপ্নকণিকাদের দিকে,
তারপর সে অতি নিপুণভাবে দেখতে থাকে আমার স্বপ্নরাজ্যের স্বপ্নিল মানচিত্র।
তারওপরে, একদিন এক স্বপ্ন-জোছনায় রাজকীয় রাজমুকুট উঠল মেয়েটির মাথায়!
সেই থেকে এই স্বপ্নরাষ্ট্রের সর্বেসবা আমি আর সে, শুধুই সে আর আমি...
----------------------------
সাহিত্য সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সাহিত্য সম্পাদক, গ্লোবালপোস্ট২৪ডটকম।