জন্ম থেকে গিলোটিনে মাথা দিয়ে আছি
চারদিকে মাতাহারি বায়ু, হেমলক জল।
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে ষোড়শীর কায়া
কালাশনিকভের আঘাতে আঘাতে
রক্ত ঝরায়, গায় বৃষ্টির গান- চার্বাক।
মৃত্যুভয়ে এ-পথ থেকে ও-পথে পালিয়ে
অবশেষে পাই পরম আরাধ্য শান্তিকুটির।
অগণিত লুম্পেন- মহামানব
রোবেস্পীয়র, হেগেল, বাকুনিন, ফয়েরবাখ।
স্ট্যালিন, লেনিন, মাও-সে-তুং, ট্রটস্কি।
আর্সেনিক ঠোঁটে চুমু খেতে বলে সবাই।
চুমু খাই। ঠোঁট থেকে ঝরে ধূর্ত গোলাপ।
ফিনিক্স পার্কের মাঠে ধুলোয় লুটিয়ে থাকে-
আমার ভবঘুরে লাশ, বেদনাদগ্ধ শৈশব,
রোমান্টিক দুপুর, শ্লোগান-শ্লোক-বিস্ময়।
থিসিসের পর থিসিস আসে
শ্লোকের পর শ্লোক আসে
শোক শেষ হয় না।
সুখ আসে না। আসে না পাললিক শৈশব।
আসে না মোনালিসা, আসে না পুস্প,
আসে না ফাল্গুন, আসে না সকাল।
শুধু গিলোটিন, শুধু তলোয়ার,
শুধু হেমলক, শুধু হেমলক...