চারিদিকে শুধু বারুদ-পোড়া নর-মাংসের ঘ্রাণ,
উন্মাদ ন্যায় ছুটিছে কতই আশাহত শত প্রাণ।
খুন দরিয়ায় যায় ভাসিয়া, কত সারি সারি লাশ,
শ্বাস-মলয়ে মিশিয়া গেছে বিষিত ‘ফসফরাস’।
রাঙা আসমানে জমা হয়ে রহে নিগ্রহ কালো মেঘ,
বজ্রের ন্যায় বোমা-রকেটের ক্ষণে ক্ষণে অভিষেক।
জীবনের মরু রুক্ষ ভূমিতে বপনে মরণ বীজ,
ভরসা-শস্য খেয়ে চলে যায় হতাশার শাপা দ্বিজ।
সবহারা প্রাণ কান পেতে শোনে বিরহ-করুণ শিস,
ফণাধর সাপে কৃশকা বদনে ছোবলে অহর্নিশ।
আপন ভূবনে আপনি তাহারা সহিতেছে কারাবাস,
শুধু চেয়ে দেখি শিশু-হনন আর জননীর হা-হুতাশ।
কোথায় নিবাস, কোথায় খাবার, কোথায় একটু জল,
নর-লাশ পঁচা রক্ত পুকুরে নিরাশার শতদল।
শুধালো যাহারা নিশিদিনি শুধু ‘মানবতা’ সুধাবাণী,
মানব-পুষ্প বাঁচিলে না তবে কি করিবে ফুলদানি?
মানবতা বুলি ফোটায়ে তারাই গড়েছে এ কারাগার
মানবতা-তট পাই না খুঁজিয়া সন্তরণে পারাবার।
নারী ও শিশুর রক্তে ওরাই রাঙায় আপন হাত,
মানুষ নহে, ওরা পশু-জানোয়ার, হিংস্র নখর-দাঁত।
শত তুফানেও ঝরিলেনা তুমি ধরণীর প্রিয় ফুল,
সাহস আর ত্যাগে নিখিল জগতে তোমার নাহিকো তুল।
নরজাতি আজি তোমার নিকটে করিয়াছে মহাঋণ,
নম্র চিত্তে সালাম তোমারে, মহান হে ফিলিস্তিন।