মহামতি নার্সিসাস,
আপনি যদি কুৎসিত হতেন,
পৃথিবীতে একটা ফুলের প্রজাতি কমে যেত
আপনি আমার অন্তঃদ্বন্দ্ব বুঝতে পারতেন,
মিলিয়ে যেতে পারতেন।
যদি আপনি প্রেম না বুঝতেন,
ঐশ্বরিক টানাপোড়েনের বলি না হতেন,
তবে কি ফুলেদের ভাষা বুঝতে পারতেন?
আপনিও তো ফুল হয়ে গেছেন,
আপনার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে শিকড়–
কীসের? আপনার দেহ ভেদ করে ওঠে গেছে,
হাজারো কীটপতঙ্গের দল ;
আপনি তবুও নিশ্চল ; প্রেমের দেবতা ভেসে যেতনা,
স্বমেহনের জলে।
আপনি যদি আমার জায়গায় থাকতেন,
এই অশুদ্ধ চিত্তের ভার বয়ে বেড়াতেন,
তবে কি আজও আপনার দেহত্যাগের বাসনা থাকতো?
আবেগতাড়িত হয়ে পুড়ে গেলেন,
নিজেকে নিজের মতো করে পাচ্ছেন না তো
আপনি আজও আপনাকে ভালবাসেন?
আপনার কাছে পৃথিবীর একবুক ঋণ আছে –
জানেন? পৃথিবী আপনাকে অন্ধত্বের স্বাদ দিতে পারেনি
তাই বলে পৃথিবীকেই ছিদ্র–বিচ্ছিন্ন–নির্বাসিত করে দিলেন? পৃথিবীর বুকের ব্যথা তীব্র,
আয়নায় তাকালে মুক্তি মেলে না।
মহামতি নার্সিসাস,
ফিরে আসুন,
আমাকে ভালবাসা শেখাবেন
যাতে আর না তাকাই, যাতে না শুনি প্রতিধ্বনি
সেভাবে হৃদয় চিরে শুদ্ধ করুন,
কীভাবে উত্তেজিত হতে হয়–নিজেকে ভেবে,
মস্তিষ্কে কীসের জোরে আকস্মিক বন্যা ভাসে,
আমাকে শিখিয়ে যান,
প্রিয় দেবতা, প্রিয় কবি, প্রিয় ভালবাসার দূত,
আপনি কুৎসিত হলে পৃথিবীতে ফুলের প্রজাতি কমে যেত; হৃদয় উপতক্যায় মরুঝড় তুলে,
কদর্যতা সপ্তম আকাশে ঠেলে দিত।