তুমি কি ঘুমিয়েছ?
কীভাবে ঘুমিয়েছ?
কীভাবে? চোখের জলে, চোখের জলে।
এই আলো-আঁধারি, কীভাবে ঘুমিয়েছ?
কোথাও ঘুমিয়েছ? মুছে গেছি?
মুছে গেছি - তোমার মনে ঢুকে।
চোখের জল কীভাবে উপেক্ষা করো?
কীভাবে? স্বভাবে? অভাবে?
তুমি কি ক্লান্ত? পরিশ্রান্ত?
তুমি কি বিভ্রান্ত?
আমি ঘুমাইনি, আমি ঘুমাইনি
তুমি ঘুমিয়েছ, কিন্তু কেন?
কিন্তু কেন? ঘুম কেন? বেঁচে থাকা কেন?
বায়বীয় না হওয়া কেন?
নিঃশেষ? নিরুদ্দেশ? আগের লেখা কবিতা ভুলে গেছি।
রুপালি আগুন ঝরা রাত কই?
ফিরে এসো? ফিরে এসো? মুঠোফোনে?
পুরোনো মনে? স্মৃতিতে? বিস্মৃতিতে?
চোখের জলে?
আর কীভাবে? কীভাবে? কীভাবে?
তুমি কি বেঁচে আছ? আমি কি বেঁচে আছি?
আমি কি আমি হয়ে আছি? আমি কি আমি হয়ে আছি?
আমি কি কেঁদে যাচ্ছি? ভেসে যাচ্ছি?
তুমিও কি ভেসে আছ? তুমিও কি বেশ আছ?
এই কান্না তোমার কাছে পৌছাবেনা
তোমার যত অপছন্দ সব সেই চিরকুটে,
বিদঘুটে, বিদঘুটে।
শুনছো? শুনছো?
হৃদয়ের আর খন্ড বাকি নেই, জগতে আর অন্ধ বাকি নেই
শেষ? শেষ? শুরু? শেষ?
নিরুদ্দেশ? শেষ? কে জানে, অভিমানে,
কে জানে? পিছুটানে।
কাঁদলে তোমার নাক লাল হয়,
সভ্য হয় এই সমাজ।
কাঁদলে আমার মন ভালো হয়,
জনম জনমের অভিশাপ।
তবু পিছুটান, তবু আহ্বান, কিঞ্চিৎ শান্তির খোঁজে
শান্তির মা বিক্ষোভে গেছে,
শান্তির মা বিক্ষোভে।
অস্থির মনে যুক্ত হও, এ যাত্রায় মুক্ত হও
বেঁচে থাক, বাঁচিয়ে রাখো।
ভুলে যেও, সাজিয়ে রাখো।
তবু থাকো। কয়েকদিন যেন নরকের প্রাতভ্রমণ৷