দূরত্ব নিয়ে হৃদয় আজ নিদারুণ এক আফসোসে ভোগে
যার দৈর্ঘ্য মিনিট বিশেকের বেশি নয়
কুঁজো হয়ে হাটার দরুন সময় যা একটু বেশি লাগে
আর কাকে দোষ দেওয়া যায়? অশ্রাব্য ঘুমকে?
বেলা ১২ টায় প্যাঁচা ঘুমায়, আর রাত হলে তলিয়ে যায়
এখনও সম্ভাবনার অঙ্ক কষি ; বছর চারেক আগে –
বছর চারেক পার হয়ে গেছে
আজ এসেছিল এলোমেলো শূন্য পাতার বেশে
জানালে ভালো হত, জানাতে পারলে ভালো হত
যদি আজ আমি, আমি না হতাম? যদি আমি তাদের মতো হতাম? – যাদের চোখের ভাগ্য আমি ইর্ষা করি
ধরনীর বুকে পদ্ম দেখেছে তারা, জেনেছে তারা সৃষ্টি সুখ
বুঝেছে তারা রঙ কেমন রঙিন হয়ে ওঠে
তাদের দৃষ্টি স্পর্শ করেছে তাকে, মনে করেছে কি –
এখানে মনে করার মতো কেউ নেই ;
যদি সেখানে চলে যেতাম? যদি মুখোমুখি হতাম?
স্মরণকালের সবচেয়ে কাছে এসেও দীর্ঘশ্বাস শোনোনি?
ও রাস্তায়, ও স্থাপনায় কল্পনায় মেতেছি কতকাল
ঘ্রাণ নিয়েছি ঈষৎ রক্ত জুড়ানো হাসির
ভেবেছি দিনের বেলা চাঁদের তাপে ঝলসে যাব
বিখ্যাত এক কবিতার মতো কৃষি কর্মকর্তা হতে চাই
শহরের নাগরিক প্রেম থেকে বঞ্চিত হতে চাই
দেখা পেতে চাই – আমার ;
অথবা তার
যে নাকি অনেকটাই আমার মতো