চেরী আর কাঞ্চণ দু’টি ফুলের গাছে
                   আমার ঘরের পাশে
একটু আগে আর পাছে
       দু’টি গাছেই অনেক ফুল আসে।
বড় হয়েছে গাছ দু’টি বেশ
                  বিদ্যূতের তার ঘেঁষে
ছুঁতে গেলেই বিদ্যূত তার
                     ওদের লোক এসে
গ্রীষ্ম আর বর্ষাকাল
                         দুই ঋতু শেষে
কেটে দেয় শাথাগুলো
                বাছ-বিচার নির্বিশেষে।
চেয়ে চেয়ে দেখি শুধু
                 বলতে পারি না হেসে
চেরীটা কিন্তু বিদেশী ফুল
                    এসেছে এই দেশে।
এক শহর হ’তে অন্য শহরে
                ঘুরে ঘুরে অনেক বর্ষে
এক হাত হ’তে অন্য হাতে
              এমন বহু হাতের স্পর্শে
হয়ত দুই শত বছর পূর্বে
                   এসে এই বঙ্গ দেশে
একটি মাত্র গাছ, এক বীজ হ’তে
                    জন্মেছিল অবশেষে।
এই বিদেশ-বিভূঁয়ে
       ভিন্ন আবহাওয়ায় ভিন্ন পরিবেশে
সহ্য ক’রে অনেক কষ্ট
        বড় হয়ে একটি বীজ পরিশেষে
এসে এই নিভৃত গ্রামে
                    ওর প্রজাতির- বংশ
রক্ষা ক’রে যাচ্ছে
            রোধ ক’রে অনিবার্য ধ্বংস।
এর একাট মাত্র বীজ
               যে  এখানে পুঁতেছিল সে-
হাসিনা,গতবার এখানে এসে
      ওর মেয়েকে দেখিয়ে হেসে হেসে
গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বলেছিল
    আমার লাগানো গাছটা এখন পঁচিশে
  
   আর আমি এখন দাঁড়িয়ে  চল্লিশে।

২০-০৮-২০১২ইং।