তুমি দুধেলা গাভী,জাতীতে আসলে গরু
তবে,অকেজো শিংদুটি তোমার যদিও বেশ সরু
বয়েস হয়েছে তাই চল,দেখে শুনে ঠাওরে
জাবর কাটায় ব্যস্ত বলে-গুতো মারনা কাউরে।
আমিও অবশ্য বদ রাখালটারে
সদা সতর্ক করি তোমার ব্যপারে
আর এই সুযোগে অই বেটা জানোয়ারে
বেতনটাও বাড়িয়ে নিয়েছে বেশামাল হারে।
তুমিও যদি ওকে রাখ তোমার চোখের নাগালে
ফাঁকি দিতে নাপারে যেন ভূয়া কোন ওজরে।
কভু সময় সুযোগ বুঝে তুমি যদি ওরে
গা টা চেটে দাও যৎসামান্য আদরে।
আমাকেও তো দিয়ে তুমি গত দশ বছর ধ’রে
টিকিয়ে রেখেছ তোমার দেয়া দুধে আর গোবরে,
বিনিময়ে আমিও ডেকে এনে ডাক্তারে
লিখিয়ে নিয়েছি কত ভিটামিন বড় বড় জারে।
ময়দা গুলে খইলের সাথে নুন মিশিয়ে রোজ দুপুরে
ট্যাপ কলের বিশুদ্ধ পানি পান করিয়েছি পেট পুরে
খইল ভূষির সাথে কত আওড় দিয়েছি নিজে চুরে
রাতের বেলা না খেয়ে থাকা তাও ছিল অনেক দুরে।
গভীর রাতে ঘরে তোমার টানিয়ে দিয়েছি মশারী
ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ফ্যনের সাথে কয়েল সারি সারি।
শীত কালে বস্তা কেটে তোমার গায়ের ‘পরে
খড়-বিচালী বিছিয়ে দিয়েছি তোমার শোবার ঘরে।

তুমিতো আবার মালটা হলে বিদেশিনী বড় জাতের
বাহ্যিক ঞ্জান কম ব'লে খোজ রাখনা এই হাতের।
যতটা এখন খাচ্ছ তুমি খুধা পেলে পেট পুরে
অধের্ক দানও পাচ্ছিনা আমি এখন সারাটা মাস জুড়ে।
তাইতো আমি মনস্থির, করেছি ভেবে এইবারে
কোন একজন ঘোষকে ডেকে দিয়ে দিব ধারে।
বিক্রি করে দি যদি কষাইয়ের পায়ে ধরে
জবাই করে খেয়ে ফেলবে তখনই ওরা তোরে।
গোস্ত খেতে আমিও পারি ঈদ এলে কোরবানীর
কিন্তু আমার দেলে লাগে কারণ শুধুই সম্প্রীতির।

তোর একটি ছেলে দু'টি মেয়ে রইল আমার ঘরে
দিব্যি করে বলছি ওদের রাখব যতন করে।
মাঝে মাঝে খবর দিব-খবর নিব ওরে
ভ্যানে চোড়ে দেখে আসব সময় সুযোগ ক’রে।

০৬-০৬-২০০৬ইং