হাটি  হাটি পা পা করে
          এখন বিদ্যালয় সালামপুর
                এক দুই করে
        চলে এসেছে বেশ অনেক দূর।
      ইংরেজি দুই হাজার তের সাল শেষে
         পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়েছে এসে।

           পালিত হয়নি রৌপ্য জয়ন্তী
              পড়ে বন্যার কবলে
               আর স্বর্ণ জয়ন্তীও
                অনাগ্রহের ফলে।

         এবার ভিন্ন সূবর্ণ জয়ন্তীর খবর
              ছড়ালো চারিদিকে
           অষ্টনব্বই এর পরীক্ষার্থীরা
            করবে তা ভিন্ন আঙ্গীকে।

               এই ভাবনাটা প্রথম
            দানা বেঁধেছিল যার মনে
             ছড়িয়ে দিয়েছিল সে-ই
              মোবাইল টেলিফোনে।
               যে যেখানেই থাকুক
             ফোন নম্বর তো জানে
               একজন দুইজনকে
           এইভাবে দেশের সর্বস্থানে।
               যে, যে প্রতিষ্ঠানে
                কর্মচারী-কর্মকর্তা
               একে একে সবাই
                পেয়ে যায় বার্তা।

         সর্বসম্মতিক্রমে ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি
            স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে
               পনের দিন আগেই
          প্রধান শিক্ষকের অনুমতি লয়ে।


                 সাপ্তাহিক ছুটির দিন
         দুইহাজার চৌদ্দ, তেইশ মে শুক্রবার
               দেখা গেল সেই দিন
    অন্য রকম উপস্থিতির হার।
             অনুর্ধ দশ শিশুরা এলো
               পিতা-মাতার হাত ধরে
                 গৃহিনীরা এলো সবে
              পতিদেবের গাড়ীতে চড়ে।
                পাশ ফেল কথা নয়
              ছোট হবে কেন ঝরে পড়া
            ভালবাসা মায়া মমতা ওদের
           সত্যিই খাদহীন সোনায় গড়া।

             সকাল আটটায় প্রথম পর্ব
                নাস্তা দিয়ে শুরু
            পরিচালনায় মমতাজ-শহীদা
               সকল নাটের গুরু।
            কে খায়নি কেন খায়নি
            এমন তদারকি করে চলে
              তুই তুকারিতে ভাবি
    এখনও রয়েছে ওরা স্কুল পালানোর দলে।

        মহিলারা পেয়াজ কাটে মরিচ কাটে
                কেউবা কাটে শশা
              বাবুর্চীতে রাঁধে বাড়ে
          কেউবা চুলায় খড়ি ঠেলতে বসা।
           খাওয়া শেষে পাঁচটা নাগাদ
              শুরু বালিশ ছুঁড়া খেলা
              হার জিত বড় কথা নয়
               এটা যে মিলন মেলা।
              বড় অফিসের বড় কর্তা
              সেও বসে সিট বেঞ্চিতে
          ষোল বছর পরে-আবার তারা
          পাশা পাশি ঠাসা ঠাসি সিটে।

    কে কোথায থাকে, বিয়ে সাদি, ছেলে মেয়ে
             কি করে সংসার চলে
           শ্রেণী কক্ষে দাড়িয়ে যেমন
           একে একে মুখস্ত পাঠ বলে।

          শিক্ষক সাহেবেরা যত শুনে
             মনে রাখা বড় ভার
         মনে মনে বলে,আরও বড় হও
         দেখা হলে জেনে নেয়া যাবে আবার।

         শুভেচ্ছা উপহারগুলি শিক্ষকদের হাতে
          তুলে দিল নামাঙ্কিত যার যার
             একে একে নতশীরে যেন
          ভিন্ন ভিন্ন উত্তর পত্র বার্ষিক পরীক্ষার।

          মেয়েদের পক্ষে শহীদা খাতুন
              ছেলেদের মমতাজ
           দোয়া চেয়ে বক্তব্য দিয়ে
        ঘোষণা করল, মনে রাখবে যা পেল আজ।

            প্রধান শিক্ষক মহোদয় দোয়া করে
                  শেষে সবাকারে
                সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ
         ঘোষণা করলেন সমাপ্তি উপসংহারে।

               তারপরে তোলা হল
                   ছবি মন মত
                 রাখা হবে স্কুলে যা
         সাক্ষি হয়ে রবে যুগ শত শত।।
          
                    ২৩-০৫-২০১৪ইং।।