১৯৪৭-এর মধ্য আগষ্ট
ইংরেজ শোষণ শেষ
পান্জাবী শোষণ শুরু।
সপ্তম মাসের মাথায়
আটচল্লিশের মার্চ
রেসকোর্স ময়দানে
ঘোষণা হল ইংরেজীতে
উর্দ্দু এবং একমাত্র উর্দ্দুই হবে
পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা।
রুখে দাড়ালো বাংগালী-
মানিনা মানবনা।
মরন কামড় বায়ান্নতে
বুক পেতে দিল বাংগালী
১৪৪ ধারা, টিয়ার গ্যাস,
কার্ফু, বুলেট
ভেসে গেল রক্ত স্রোতে।
ধ্বনিত হল ঢাকার আকাশে
বংগালী, বঙ্গভূমি, বাংলাভাষা
দাড়িয়ে রবে মাথা তুলে
এই পৃথিবীতে।
পদ্মা মেঘনা যমুনা যেমন
এক মোহনায়
একই সুরে মিলিত ধারা।
ঠিক কুড়ি বছর পরে
পৃথিবী পরিচালনার বড় ঘরে
বজ্র কণ্ঠের বাংলা ধ্বনি
ধ্বনিত হল বিশ্ব জুড়ে-
তারে ও বেতারে।
তারই প্রতিধ্বনি
উনত্রিশ বছর পরে
কড়া নাড়লো সজোরে
প্রতিটি জাতীর ভাষার দুয়ারে,
সবাই সদর দরজা খুলে
আদুরে ছোট্ট শিশুটিরে যেমন
তুলে নিল বুকে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে।
একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে
একুশে ফেব্রুয়ারীকে।
২১-০২-২০০১ইং।
সূত্র:- অগ্রনী ভূমিকায় কানাডা প্রবাসি
রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম।
সার্বিক সহযোগিতায়:- মহাসচিব কফি আনান ও
সেক্রেটারি আনা মারিয়া।
প্রস্তাবনায়: বাংলাদেশ, কানাডা, ভারত, হাঙ্গেরি ও ফিনল্যান্ড