শহুরের এঁদো বেঁদো সব কাঁদা ফেলে
হাটিয়া চলিছে এক কিশোর ছেলে;
পরনে তাহার জীর্ণ পিরান
জানেনা সে তার গন্তব্যের নিশান।
কিছু পুস্প তার দুটি হস্তধীন
মুখের গড়ন মনমুগ্ধকর, তবুও বাকহীন।

বাকরুদ্ধ ছেলেটির শ্বাস ...
চারিদিকে কিছু মানবের ফিসফাস
শুনিয়া কেহই করেনা তাহাকে করুণা!
কী হইবে তাহাতে? ছেলেটি শ্রবণহীনা!

তাহার নাহি কোনো থাকিবার আবাস
তাহাতে কী? বৃক্ষ তলে করে বসবাস,
উড়াল দেয়া পাখির গোটা ঝাঁক
দেখিয়া তাহার ফিরিতে চাহে বাক।
তাহার অন্তরে গোচ্ছিত ক্রন্দন
কেহ শুনেনা, নিজেও পারেনা করিতে শ্রবণ।

প্রভাতে উঠিয়া সূর্যের মুখ দেখে-
ভাবিয়া লয়, সারাটা দিন কাঁটাবে সুখেে,
এদিক সেদিক হাটিয়া হাটিয়া শেষে
পেটের ক্ষুধা মিটে, বিনা ক্লেশে।

দুপুরের ঠা ঠা রোদ ভেঙ্গে!
লুকোয় না সে, কিছু মানুষের মতো ঢঙে!
সে প্রতিরোধি তাহার জনম লগ্ন হইতে
শুনিতে হয়না তাহাকে, বিদ্রুপ; লোক হইতে!

সে বাক পতিবন্ধি,
সে শ্রবণ প্রতিবন্ধি
তাহার নাহি কোনো প্রতিদ্বন্ধি !

সে হাটিয়া চলে জীর্ণ পিরানে,
খোলা পায়ে, খট খটে উত্তপ্ত পথের পানে
গরম হাওয়া উড়ায় তাহার কেশর,
অনুভূতির কিছু পাহাড়ে, ভরা তাহার অন্তর।
ফুটেনা তাহার মুখে কোনো বুলি
তবুও সে সুখি, নাহি কোনো ঝামেলার ঝুলি!

এঁদো বেঁদো সব কাঁদা পেরিয়ে-
জয়ের নিশান প্রাণে নিয়ে
অগ্রভাগে সে বীরবেশে!

প্রার্থনা তাহার ... ...
চাহেনা সে সুখের বিশাল পাহাড়
অগাঢ় ভরসা রবের প্রতি তাহার
ভাবিয়া লয়,”স্রষ্টার মুহি সৃষ্টি;
                          -ইহাতেই সুখ প্রগাঢ়!”


                                                          - ৯ই ভাদ্র ১৪২৯

(সহমর্মিতার সংবেদন)