তপ্ত রোদের থম থম শব্দে
ভিজিছে দেহ গলিছে মস্তেক
গুন গুন ডাক শোনা যায় কার?
গন্ড শুঁকাইয়া হয়িছে কাঠ
ঘুরিয়া ঘুরিয়া চলিছে সময়
নাহি কারো হাঁক, ইহা মহাপ্রলয়।
উত্তপ্ত রোদের হাসি অবাধে
লোকেরা সব ভিজিছে ঘর্মে।
রুগ্ন তাপের অতিষ্টের পরে,
আপনাকে সবে লুকিয়ে রাখে
ভিজিছে সবে ঠান্ডা জলে
রহমতে তাহা মিলাচ্ছে বলে।
দুর দুর শত ভূ-পৃষ্ঠ গভীরে
স্রষ্টা তাহা রহমতে ভরিছে
ধুর! ছাই, ইহা নাহি ধৈর্যে কুলায়ে
তপ্ত এক মহাপ্রলয়ে
মানবজাতিই দায়ি ইহাতে!
দুম্র পাহাড় ছায়ার তলে
ডাকিছে পাখি, নাইছে জলে
ছায়া যখন দির্ঘ্য হইবে
মানব সবে ধৈর্যে ফিরিবে।
অন্ধত্বের মাঝেই সবে
শুকরয়িা আদায়ে রহিবে
ধুর! সব তাপ চলিয়া গিয়া
শীতল মনে বসিয়া রহিছে।
আবার আসিবে তপ্ত-উত্তপ্ত।
গলিয়া পড়িবে কথেক মস্তক !
- (০৪/০৭/২০২২)