দাড়াইয়াছিলাম তখন,
বৃক্ষরাজের ছায়ার তলে
ভাবিতেছিলাম কেমন?
কি যেন উদাস হাওয়া বলে!
উহায় সুখ আছে,
মাথার কেশর গুলো উড়িছে-
হ্যা! উহাতে সুখ আছে।
বৃক্ষরাজের পাতাগুলি
দুঃখ ভরে মোকে বলছিলো-
বুঝিনি কী বলে ওগুলি,
প্রকৃতির নিবিড়তায় আধার আসিলো!
বৃক্ষরাজে আবার কহে-
”ওহে মানব তুমি কি বাঁচাবে মোকে?”
হা কহিলাম বটে।
কী করিয়া বাঁচাইবো আপনাকে?
কীভাবে আসিবে শান্তি?
জবাবে বৃক্ষরাজ কহিতে থাকিলো,
”দেখিয়া লও আমার ক্লান্তি-
কত লোকে আসি অকারণে পাতা ছিড়িলো-
আবার তাহারা ভেবে,
লিখিল মোর দেহে খোদাই করিয়া।
পারিবে হে তুমি?
মোকে বাঁচাতে ওদের হতে?
বাচিঁতে চাহি আমি
পাহিবে কী তাহাদের সহিতে?”
জবাব দিলাম,
কীভাবে?
বৃক্ষরাজে কহিলো,
”বলিয়ো তাহাদের-
শুধু মানবের দেহে হয়না ব্যাথা-
শুধু সুখ কি উহাদের !
বৃক্ষে তবুও আছে প্রাণের কথা।
যদি উহারা মোকে
কাঁটিয়াও ফেলিতো নিত্যপ্রয়োজনে
ভাবিয়া লহিতাম ওহে ,
ইহাই নিয়তি তব মোর জীবনে
ব্যাথা তবে পাহিতাম না
মনে হইতো যে কাজে আইসাছি
ভাগ্যতে আছিলো যাহা
তাহাই বরণ করিয়া নিয়াছি!
বৃক্ষরাজে আর-
বলিলোনা কোনো কথা মোকে
খুলিলে সুভক্ষণের দ্বার-
আসিবে কী কেউ উহাদের বুঝাইতে?
মুহি তো পারিলেম নাহ
বৃক্ষরাজের কষ্ট ভুলাইতে
সুদূর ভবিষ্যতে,
বোঝাইয়ো তোমরা। উহাদের হাতে-
হাতকড়া পড়াইতে,আসিবে কী কেহ !
বেদনার নিষ্প্রহর মতই থাকি
আমিও বুঝাইতে পারিনি তাহাদের
কেন?
ওহে শোন মানব জাতি!
উহারাও কষ্ট পাহে!