অরণ্য ডিঙিয়ে আসা পাখিদের আশ্রয়স্থল
লাল-সবুজ, তুমি বাংলাদেশ।
বিকেল ছুয়ে আসা পাখির কুজনের আশ্রয়স্থল
মাতৃভূমি, তুমি বাংলাদেশ।
সহস্র মেঘের গর্জনে ভাসিয়ে বৃষ্টি আসে
তোমার বুকে বাংলাদেশ।
শৈত্যের অপরাহ্নে রৌদ্র মাখা মাঠে শিশুটির
নিদ্রার নরম বিছানা তোমার ঘাসগুলো, বাংলাদেশ।
নিঃশব্দে গা ভাসানো দখিনা বাতাসের গন্ধ
তোমার জমিনে বাংলাদেশ।
হ্রদের টলটলে পানির আওয়াজ ভেসে আসে
তোমার গা বেয়ে বাংলাদেশ।
গাঢ় অন্ধকারে কেউ কাঁদে রাত্রি বেলায়
বাংলাদেশ তোমার বুকে ।
আবার ভোরের শিশিরে পাতার ফাকেঁ আসা রোদে
সেও দুঃখ যায় ভুলে
সকালের সূর্য ওঠা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় শীত
ঘুম ভাঙার গুনগুনি, ফজরের আজান
শোনা যায় বহুদূর হতে,
তুমি আমার, প্রতিটি শিরায় গাঁথা বাংলাদেশ।
পড়ন্ত বিকেলগুলো, বসন্তের পাতা ঝড়া মূহুর্তগুচ্ছ
সৃতি আঁকড়ে বাঁচতে চায় কেহ কেহ-
তোমার সৃতি,
হ্যা ! বাংলাদেশ,তোমার সৃতি!
সকলের হৃদয়ে তুমি এক লহমা মোহ।
মাথায় কাপড়ের লাল-সবুজ মূকুট লাগানো শিশুটি
দৌড়ায় মহানন্দে, উৎফুল্লের সুরে-
হ্যা বাংলাদেশ, তোমায় ভালোবেসে
তোমায় হৃদয়ে ধারণ করে।
তোমার আশায় বাঁচে, বাংলাদেশ তোমার জমিনে বাঁচে
যা দিয়েছে মহান স্রষ্টা, তুমি বরকতময়,
হে বাংলাদেশ! তোমায় সাজিয়েছে নানান সাজে।
শ্রান্ত শরীর নিয়ে, বৃদ্ধ মানুষগুলো
বোঁনে সোনার ফসলের বীজ
বসে থাকে অধীর আগ্রহ নিয়ে,
তোমার উর্বর মাটিতে সেগুলো ফলে।
**********************
আমি ধন্য তোমায় পেয়ে বাংলাদেশ
আমি ধন্য,
আমার জন্ম,আমার মৃত্যু হোক তোমার কোলে।
কোথায় আছে এমন সুখ? মাতৃভূমি বিনা হে?
যেথায় সবুজ ঘাসের ছোঁয়া মেলে
বর্ষার মাঝে শিশুরা নায় আনন্দে!
সকাল ভিজে যায় রৌদ্রজ্জলে
অন্তরাত্মা তৃপ্ত হয়, রবের রহমতে,
আমি ধন্য! শোন হে বিশ্ববাসী
আমি ধন্য, আমি মহা ধন্য!
তোমরাও ধন্য হইয়ো, আপন মাতৃভূমে.....।