প্রণয়িনী, মৃদুস্বর ডাকে মিছিলশেষ ক্লান্ত প্রেমিকের গলা
প্রসন্ন সুখ গালে-চোখে লেপ্টে থাকে বৃষ্টিস্নাত কুমারীর মতো...
লাজুক ভঙ্গিমায় ব্যঙ্গ করা ছেলেটা এখন দিনরাত
মিছিল করে, আওয়াজ তোলে কড়া তানের, উচ্চকণ্ঠের —
যেন কেউ কোনোদিন কোন কবিতার অনিষ্ট করতে চাইলেই,
শক্ত প্রতিরোধে গেঁথে দেবে বুকে প্লাটুন প্লাটুন বুলেট
এই সংকোচে — কেউ কোনদিন পেশিবহুল অধিকার দেখাবেনা আর
তাই হাসে কেবল, বিনয়ী উল্লাসে —
অজস্র দেবদূত গ্যালন গ্যালন সুধা পান করানোর দায়িত্ব নেয়
একটি কবিতা স্বাধীন হলো তবে
একজন বালিকা একান্তই নিজের হলো দারুণ অস্তবেলায়
প্রণয়িনী ললনা হে, সর্বাঙ্গে এবার আমাকে স্বাধীন করো তুমি...