ধুলোমাখা ঐ পথটা হেটেছিলে?
শুকনো রক্তের ছাপ পায়ে মাড়িয়ে ছিলো?

পেয়েছিলে?
কিছু আর্তনাদের শব্দ?
গায়ে মেখে ছিলে কান্নার নোনা গন্ধটা?

তারা প্রতি নির্ঘুম রাতে প্রহরির কাজে,
ছুটে আসে এই রাস্তাটায়।

রিন রিন করে বেজে উঠা চুড়ি কিংবা স্বর্গীয় হাসি তোমাদের হ্রদয়ে চঞ্চলতার ফোয়ারা ছোটায়।
তোমাদের শিতল চোখ দপ করে জ্বলে উঠে
একরাশ ভয় অথবা ক্রোধে!

তোমাদের কম্পিত ঠোঁট বিরবির করে,
তারা মিথ্যা,মিথ্যা তাদের অস্তিত্ব।

তোমার হাত সায় দেয়
আমি নিজেই ভেঙেছি তাদের কাচের চুড়ি!
ইটের আঘাতে থেতলে দিয়েছি সম্মান,গড়িমা,শরীর।

তোমার প্রশস্ত বুক গর্জিয়ে উঠে,
আমি তো রেহাই দেই নি তাদের কপালে বাঁকা হয়ে থাকা ছোট্ট টিপটাকেও!
তাদের ফিরে আসা অসম্ভব।

তুমি বলো আমি পুরুষ আমি শক্তি,
আমি ধর্ষক,তদুপরি আমি পবিত্র।
এইখানে তারা পাপ,তারা ধর্ষিতা,তারা নারী!

অন্ধ তুমি,
তোমার নজর এরায়।
তারা ফিরে আসে
তোমায় বাবা ডাকা সেই ছট্টো মুখটাতে!
তোমার মায়ের শরীরের মাদকতার গন্ধে,
তোমার স্ত্রীর ভালোবাসায়!

তারা ভড় করে
তোমার বোনের অন্ধ বিশ্বাসে,
তারা ফিরে আসে,তারা ফিরে আসে
তারা ফিরে আসে।